রাজশাহীর বাঘায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের চানপুর গ্রামে নূর মোহাম্মদের ছেলে জলিল ভূইয়াকে ১৯৮৪ সালে ৯৮ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রি করে দেন। সেই জমিতে জলিল ভূইয়া ১৫ বছর আগে ৫০টি কাঠ জাতীয় গাছ রোপন করেন। পরে সেই জমির অংশ দাবি করে জলিল ভূইয়ার বড় ভাই মজিদ ভূইয়ার ছেলে জিয়াউর ভুইয়া, মতিউর ভূইয়া, জিল্লুর ভূইয়া, মিনারুল ভূইয়া ২৮ ডিসেম্বর ৫০টি মেহগুনি গাছ কাটতে শুরু করে।
ওইদিন জলিল ভূইয়া বাদি হয়ে রাজশাহীর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত রোববার (১ জানয়ারী) ১৪৪ ধারা জারি করেন। এ নিয়ে চলছে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা। কয়েক বছর আগে নূর মোহাম্মদ ও মজিদ ভূইয়া মারা গেছে বলে জানা গেছে। বর্তামানে জমিতে পড়ে থাকা কাটা গাছগুলো নিয়ে আহাজারি করতে দেখা গেছে জলিল ভূইয়াকে।
এ বিষয়ে জলিল ভূইয়া সোমাবার (২ জানুয়ারী) বলেন, আমার বাবা জীবিত অবস্থায় রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া জমিতে রোপন করা গাছ ভাতিজা জিয়াউর ভুইয়ার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধদল হাসুয়া, লাঠি, ফালা, দা, কুড়াল, করাত নিয়ে কাটে। পরে কাটাগাছগুলো আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাঁধা দিলে হত্যার হুমকি দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ ফোন দিই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তারা গাছ রেখে চলে যায়।
এ বিষয়ে জিয়াউর ভুইয়া বলেন, আমার বাবার অংশ না দিয়ে ছোট চাচা জলিল ভূইয়া একাই জমি ভোগ দখল করছিল। বাবার অংশের জমিতে গাছ কেটেছি। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা করানো হয়েছে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পরে জেনেছি।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি তদন্ত আবদুল করিম বলেন, জমি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। গাছ কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন গাছ নিয়ে না যেতে পারে সেই বিষয়ে বলা হয়েছে।