গত কয়েক দিনে বয়ে যাওয়া উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার তীব্র শীতের দাপটে কাহিল করেছে কুড়িগ্রামের হত দরিদ্রতম উপজেলা চর রাজিবপুর বাসীক। শীতে কাহিল চর বাসীর নিকট সরকারি কিছু কম্বল পৌঁছলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে শীতে কাতরাচ্ছে চর ও দ্বীপচর সহ অত্র উপজেলার দু:স্থ ও সাধারন মানুষ। নদী তীরবর্তি মানুষগুলোর অবস্থা আরও দুরাবস্থা। হাতে টাকা পয়সা না থাকায় অনেকে গরম কাপড় কিনতে পারছেন। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। মানুষের পাশাপাশি গবাদী পশুগুলো তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে শীত জনিত রোগ। হাসপাতাল গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে শীত জনিত রোগী। ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী বাস ও নদী পথে স্যালো চালিত নৌকা গন্তব্য পৌছঁতে দেরি হচ্ছে। প্রায় দিনই সন্দ্যায় ছেড়ে আসা নৌকা গুলোর যাত্রীদের রাতে নৌকাতেই রাত্রী যাপন করতে হ”্ছ।ে মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, বড়চর,কীর্তনতারী,ভেলামারী ,চরনেওয়াজি,মাষ্টার পাড়া,সন্ন্যাসীকান্দি ও দিয়ারার চর নদী তীরবর্তি মানুষের কাহিল অবস্থা। শুনছি কিছু সরকারি কম্বল ইউপি চেয়ারম্যান বরাদ্ধ পেয়েছে। কিন্তু মাত্র কয়টা কম্বল দিয়ে কি চলে। মোহনগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, আমি উপজেলা থেকে ৫শত কম্বল পেয়েছিলাম তা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন,তার ইউনিয়নের গরীব অসহায় মানুষের জন্য সরকারের পাশাপাশি বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ছক্কু জানান, নদীবিচ্ছন্ন তার ইউনিয়ন বাসীর অবস্থা কাহিল করে ফেলেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাকে শীতার্তদের মাঝে এগিয়ে আসার আহবান করেছেন। রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিরন মো: ইলিয়াস জানান,তার এলাকায় জেলে সম্প্রদায়,বেশ কয়েকটি গুচ্ছগ্রাম ও প্রধান মন্ত্রীর অনুদানে নির্মিত গৃহ বরাদ্ধ পরিবারসহ হত দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। সকল জিও,এনজিও ও বৃত্তবানদের শীতার্তদের পাশে দাড়ানোর আহবান করেছেন। চর রাজিবপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেশকাতুর রহমান বলেন প্রায় এক মাস হলো ৩ ইউনিয়নের জন্য ১৫শত কম্বল বরাদ্ধ পেয়েছিলাম যা স্ব-স্ব ইউনিয়নের বিতরন করা হয়েছে। আরও শীতের কম্বল চেয়ে চাহিদা দেওয়া হয়েছে।