স্থানীয় সরকার দলীয় সাংসদের সাথে গোপনে আঁতাত করে কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও দলীয় কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকাসহ বিস্তার অভিযোগ এনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্র থেকে অভিযোগের তদন্ত করে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদককে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে গত দুই মাসেও অভিযোগ তদন্তের কোন অগ্রগতি হয়নি। ফলে বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার। অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন দিপেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, গিয়াস উদ্দিন দিপেন যে স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের কাছ থেকে কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন, তা সাংসদ নিজেই একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে তার বক্তব্যে প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও সাবেক সাংসদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবা উদ্দিন ফরহাদকে এলাকায় প্রবেশে বাঁধা প্রদান ও প্রতিহত করার ঘোষণার পেছনেও দিপেনের ষড়যন্ত্র রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, যেখানে বিএনপির তৃণমুল নেতাকর্মীরা হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন, সেখানে দলের বড় পদ বহন করে সরকার দলীয়দের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি থাকায় অভিযোগের সম্পূর্ণ তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই তদন্তের কাজ শেষ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন দিপেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, সাংসদ তার বক্তব্যে কি বলেছেন তা আমার দেখার বিষয় নয়; রাজনীতির পাশাপাশি যদি কেউ ঠিকাদারী কাজ করেন সেখানে দোষের কিছু দেখছিনা। তিনি আরও বলেন, আমি দলের মধ্যকার প্রতিপক্ষের লোকজনের ষড়যন্ত্রের শিকার।