নওগাঁর মহাদেবপুরের সাংবাদিক ইউসুফ আলী সুমন গত তিন সপ্তাহ ধরে জেল হাজতে রয়েছেন। উপজেলা সদরের মাসুদ ফিলিং স্টেশনের মালিক মৃত মোদাচ্ছের আলীর ছেলে সাজেদুর রহমান সাজুর দায়ের করা চাঁদাবাজী মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশীট দাখিল করলে বিজ্ঞ বিচারক গত ১৩ ডিসেম্বর তাকে এবং তার সহযোগী মহাদেবপুর মডেল স্কুলপাড়ার নজর আলীর ছেলে কসাই জাহাঙ্গীর আলমকে জেলে পাঠান। মামলাটি বিচারের জন্য নওগাঁ জেলা জজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আগামী ধার্য তারিখ রয়েছে ১৩ জানুয়ারি। এই মামলায় উপজেলা সদরের সাবেক ইউপি মেম্বার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে সোহেল রানাকেও আসামি করা হয়। তিনি জামিনে রয়েছেন।
নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে দায়ের করা মামলায় বাদি সাজেদুর রহমান সাজু অভিযোগ করেন যে, আসামি সোহেল, সুমন ও জাহাঙ্গীর প্রায়ই মোটরসাইকেল নিয়ে তার ফিলিং স্টেশনে এসে কর্মচারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিনামূল্যে তেল নিয়ে যায়। গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় তারা আবার সেখানে এসে বিনামূল্যে মোটরসাইকেলের ট্যাংকি ভর্তি করে অকটেন দিতে বলে। কর্মচারী দিতে অস্বীকার করলে তারা মোটরসাইকেল থেকে নেমে এসে সুমনের নির্দেশে সোহেল রানা ওই স্টেশনের কর্মচারী রিফাত হোসেনকে জুতা দিয়ে বেদম মারপিট করে। একপর্যায়ে তাকে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তারা যাবার সময় তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে। অন্যথায় ব্যবসায় বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দেয়। ফিলিং স্টেশনের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা এসময়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দিলে থানা পুলিশ মামলাটি এন্ট্রি করে গত ২১ আগস্ট সোহেল রানাকে আটক করে জেলে পাঠায়। পরবর্তীতে আদালত সোহেল, সুমন ও জাহাঙ্গীরকে অস্থায়ী জামিন দেন। গত ১৩ আগস্ট থানা পুলিশ আদালতে মামলার চার্জশীট দাখিল করে। পুলিশের দেয়া চার্জশীটে সুমন ও জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকায় বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠান। তবে সোহেল রানার জামিন বহাল রাখেন।