জামালপুরের সরিষাবাড়িতে হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। পথে ঘাটে স্টেশনে স্টেশনে অবহেলায়, অযতেœ শীতে থরথর করে কাঁপছে ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষেরা। সব চেয়ে বিপদে পড়েছে দিন আনা দিন খেটে খাওয়া দিন মজুর ও শ্রমিকেরা। মৃদু শৈত্য প্রবাহ ঘন কুয়াশার জন্য তারা ঘরের বাহির হতে পাচ্ছে না। বের হলেও প্রচন্ড ঠান্ডায় কাবু হয়ে ঘরে ফিরছে। হাসপাতাল গুলোতে শীত জনিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশূ কিশোর বৃদ্ধদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ঠান্ডা,সর্দি,কাঁশি নিউমোনিয়া এজমা,হাফানিসহ বিভিন্ন রোগ বালাই। গৃহ পালিত পশু পাখীগুলো জবুথুবু হয়ে গোয়ালে দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে কাঁপছে। দূর পাল্লার যাত্রী ও পণ্যবাহী বাস ট্রাক গুলো হেড লাইট জ¦ালিয়ে ধীরে ধীরে চলতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশার কারণে ইরি বোরোর চারা ও মরিচের ক্ষেত মরে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে মরিচের বাজার ৬/৭ শত থেকে ২ হাজার টাকা মন বেচাকেনা হচ্ছে। শীতার্ত অসহায় দরিদ্র মানুষেরা জানায় সরকারের দেওয়া গরম কম্বল বিতরণ করা হলেও প্রকৃত পক্ষে গরীবেরা তা পাচ্ছে না। সরিষাবাড়ি স্টেশনে পড়ে থাকা ছিন্নমূল রাহেলা বেওয়া জানায় ,আমরা বাবা এডা কম্বলও পাই নাই। ওইলা কবে আহে কহন দেয় আমরা তার কিছুই হুনিনা। হনলেও লাভ নাই,ওইলার হব নিয়ে যায় বড় নোক আর নেতারা। আমরা যে মরা সে মরাই। আন্নেরা এলা কইয়েন আংগর কতা,হরকার য্যান আংগর এডা করে কম্বণ দেয়। এদিকে উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, আমরা ইতোমধ্যে ৫০ হাজার কম্বল শীতার্ত মানুষের মাঝে বিলি করেছি আরো ৫০ হাজার কম্বলের চাহিদা সরকারের কাছে দিয়েছি। সে গুলো এলেই আমরা দ্রুত বিতরনের ব্যবস্থা করবো।