মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার পৃথক দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস বিতরণ লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এ সময় নিয়ম অমান্য করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে দুটি হোটেলকে মোট ৪০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালত।
৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন দুটির মাধ্যমে তেতৈতলা, বালুয়াকান্দি,কাজীরগাঁও, বড় রায়পাড়া,ছোট রায়পাড়া,আড়ালিয়া,মুদারকান্দি সহ মোট ৭টি গ্রামে অন্তত ৭ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ চলতো বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা চলে অভিযান। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জি.এম. রাশেদুল ইসলাম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. রাশেদুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অমান্য করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে হোটেল পরিচালনা করায় তেতৈতলা এলাকার স্টার কাবাব এ- হোটেলকে ৩০ হাজার টাকা এবং আলামিন হাইওয়ে হোটেল এ- রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাসের সোনারগা আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপণ্ডমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরুজ আলম, মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান।
তিতাস গ্যাসের সোনারগা আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপণ্ডমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সরুজ আলম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাইন দুটি খুঁজে বের করেন তারা। বালুয়াকান্দি থেকে মুদারকান্দি পর্যন্ত একটি লাইন যার দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৬ কিলোমিটার তার মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজারের মতো অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালু ছিল। অন্যদিকে তেতৈতলা গ্রামের আরেকটি লাইন যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২ কিলোমিটার তার মাধ্যমে অন্তত ১ হাজার অবৈধ সংযোগ চালু ছিল। এই দুটি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গজারিয়া উপজেলার আরো কিছু জায়গায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালু রয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করে সকল অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।