ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পবা হাইওয়ের সীমানায় প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুঘর্টনা ঘটছে। পবা হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে যানবাহনের মাসিক চুক্তি করা না থাকলে। কিংবা অন্য জেলা হতে আসা যানবাহনগুলোকে মোটরযান আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন চালকরা। চালকদের অভিযোগ আকাশে যত তারা, মোটরযান আইনে তত ধারা। পবা হাইওয়ে শিবপুর থানার সড়কের কার্যক্রম নাটোর জেলার হাফরাস্তা হতে,রাজশাহীর জেলার বানেশ্বর পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার ষ্টেশন পর্যন্ত। টাঙ্গাইল জেলা হতে আসা হাইএস মাইক্রোবাস চালক আবুল কাশেম বলেন,বর্তমানে হাইএস মাইক্রোবাস নিয়ে যুবকরা বেশি ঘোরাঘুরি করে থাকেন। পবা পুলিশের সঙ্গে মাসিক চুক্তি না থাকার জন্য, আমার বিরুদ্ধে মোটরযান আইনে ১০ হাজার টাকার মামলা দিয়ে দিল। আমি বছরে কিংবা মাঝেমধ্যে এই সড়কে আসা পড়ে। মাসিক চুক্তি করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিলে তারা মামলা দেয় না। অন্য জেলার যানবাহন দেখলেই তারা চিনতে পারে। ঢাকা হতে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পন্য সামগ্রী নিয়ে পবা সীমানায় ট্রাক দেখলেই পুলিশ মামলা দিলে হয়রানি করার অভিযোগ চালকদের। পবা হাইওয়ে পুলিশ রাত দিন সড়কের বিভিন্ন স্থানে চালকদের জিম্মি করে চাদা উঠানো একধিক অভিযোগ রয়েছে। মহাসড়কে অবৈধ নিষিদ্ধ যানবাহনগুলো সবসময়ে দেখা যাচ্ছে কিন্তু তাদের আটক করছে না। প্রকাশ্য নসিমন, পাওয়ার টিলারের মতো অবৈধ যানবাহনের নিকট টাকা নিয়ে যাতায়ত করতে দেখা যাচ্ছে। ট্রাকের সমান বড় বড় নসিমন প্রকাশ্যে ধানের খড়, গরু বহন করছে। ছোট যানবাহন সড়কে নিষিদ্ধ হলেও ব্যাপক দেখা যায়। অবৈধ যানবাহনের জন্য পবা হাইওয়ে এলাকা মহাসড়কে সবসময়ে যানজট লেগেই থাকে। প্রতিদিন পুঠিয়া সদরে দীর্ঘক্ষন যানজন দেখা যায়। চুক্তি না থাকা যানবাহনগুলোকে ধাওয়া করতে গিয়ে অনেক সময়ে ধাওয়া খেয়ে যানবাহনগুলি দুঘর্টনা শিকার হচ্ছে বলে চালকরা অভিযোগ তুলেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু একধিক যানবাহন মালিক বলেন, শুধুমাত্র পবা পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে চালকারা মামলা হতে বাঁচার জন্য তাড়াহুড়া করে যানবাহন চালাতে গিয়ে দুঘর্টনা কবলে পড়ছে। তাই ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পবা হাইওয়ের সীমানায় প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুঘর্টনা ঘটেই চলেছে।
এ ব্যাপারে পবা হাইওয়ে পুলিশ (শিবপুরহাট থানার) ওসি মোফাক্কারুল ইসলাম বলেন, আমার সড়কে কোনো সময়ে অবৈধ যানবাহন চলাচল করতে দেয় না। তারপর, আমি বর্তমানে পবা থানার ইনচার্জের দায়িত্বে নেই।