বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি ) কামরুল আহসান বলেছেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে দ্বিতীয় প্ল্যাটফরম অত্যন্ত সরু। এতে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্টেশনে তৃতীয় ও চতুর্থ লুপ লাইনের কাজ শুরু হবে চলতি মাসেই। এ দুটি রেললাইনের কাজ শেষ হলেই এখানে আরেকটি প্ল্যাটফরম নির্মাণ করা হবে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজি আরও বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েই সৈয়দপুরে পরিদর্শনে এসেছি। আমি নীলসাগর ট্রেনে আসন সংকট সম্পর্কে জেনেছি। ইতোমধ্যে রেলওয়ে অনেকগুলো কোচ আমদানি করা হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী চিলাহাটি-ঢাকা রুটে দিনের বেলা আরেকটি নীলসাগর ট্রেন চালু করা হবে। এ ছাড়া বর্তমান নীলসাগর ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করা হবে। দেশে মিটারগেজ তুলে দিয়ে শুধু ব্রডগেজ যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে করে রেলসেবা আরও গতিশীল হবে। কামরুল আহসান স্টেশনে পৌঁছালে স্টেশন মাস্টার ওবাইদুর ইসলাম রতন তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি সৈয়দপুর স্টেশন ঘুরে দেখেন ও স্টেশন স্টাফদের সাথে মত বিনিময় করেন। এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদার, প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা প্রমূখ। এর আগে বিকেলে রেলওয়ে ডিজি কামরুল আহসান দেশের রেলওয়ে জেলা স্কাউটস কার্যালয় পরিদর্শণ করেন। এ ছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানায় বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক কনফারেন্স রুমে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। উল্লেখ্য রেলওয়ে ডিজি আসার বিষয়টি জানানো হয়নি সৈয়দপুর প্রেসক্লাবসহ অন্যান্য সংগঠনের সাংবাদিককে। কারণ কারখানার অনিয়ম,রেল স্টেশন মাস্টারের অনিয়ম দুর্নীতি এবং বিভাগীয় তত্বাবধায়ক ডিএস এর অদক্ষতায় রেলওয়ে কারখানায় বাসা বেঁধেছে নানান অনিয়ম। ওই সকল অনিয়ম ফাঁস যাতে না হয় সেজন্য রেলওয়ের কোন বড় কর্মকর্তা এলে তা জানানো হয় না সংবাদকর্মীদের।