জেলার হিজলা উপজেলার গৌরবদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং তার ভাতিজাকে অপহরণ করে হাতুরি পেটা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুত্বর অবস্থায় আহতদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার সকালে শেবাচিমে চিৎিসাধীন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন বেপারী (৬৫) জানান, গত ৪ নভেম্বর হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাউন্সিলে তিনি সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলনের সমর্থক ছিলেন। এ কারণে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও বড়জালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন হাওলাদার।
আলাউদ্দিন বেপারী বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ও তার ভাতিজা আবদুল মান্নান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে যান। এ সময় এনায়েত হোসেন হাওলাদারের ২০/২৫ জন সমর্থকরা তাদের অপহরণ করে উপজেলা সদরের জামাল দফাদারের বাড়ির সামনে নিয়ে হাতুরি পেটা করে ফেলে রাখেন। খবর পেয়ে হিজলা থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অপহরন ও হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরজালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন হাওলাদার বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে হামলার ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিয়ে আমাকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যা সঠিক তদন্ত করলেই মূলরহস্য বেরিয়ে আসবে।
আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হিজলা থানার এসআই মো. সোহরাব হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মেঘনা নদীতে মাছ ঘাট নিয়ে বিরোধের জেরধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।