নোয়াখালীর সেনবাগে এক ওমান প্রবাসীর স্ত্রী (২৫) গণ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় সেনবাগ থানা পুলিশ হুমায়ুন কবির (৩০) ও সহেল (২৮) নামের দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে সেনবাগ উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউনিয়নের কাজিরখিল গ্রামে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেঃ উপজেলা বীজবাগ ইউপির কাজিরখিল গ্রামের রমজান আলী ভেন্ডার বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে হুমায়ুন কবির ও আবদুল করিমের ছেলে সহেল। এ ঘটনায় জড়িত একই এলাকার ফকির আহম্মেদের ছেলে ইয়াসমিন প্রকাশ তকু পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার বীজবাগ ইউপির কাজিরখিল গ্রামের ওমান প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী (২৫) বৃহস্পতিবার রাত ১০টারদিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়ে বসতঘরের পাশ্ববর্তী টয়লেটে যায়। এ সময় ঘরের দরজা খোলা পেয়ে একই বাড়ির ভাসুর আবুল কাশেমের ছেলে লম্পট হুমায়ুন কবির ঘরে ডুকে প্রবাসী স্ত্রীর মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যাবার সময় সে দেখে পেলে চিৎকার দিলে হুমায়ুনের অপর দুই সহযোগী সহেল ও ইয়াসমিন প্রকাশ তকু’র সহযোগীতায় প্রবাসীর স্ত্রীকে মুখ চেপে ধরে পাশ্ববর্তী পুকুর পাড়ে নিয়ে জোর পূর্বক গণধর্ণষ করে। এ সময় প্রতিবেশী দিদার হোসেন ও মজিবুল হক তাদের মাছের প্রজেক্ট থেকে বাড়ি ফেরার পথে টর্চলাইট মারলে ধর্ষণের ঘটনাটি দেখে ফেলে। এ সময় সংবদ্ধ ধর্ষকরা তাদেরকে দেখে প্রবাসীর স্ত্রীকে পুকুর পাড়ে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ বাদী হয়ে রোববার দুপুরে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ৩ তারিখ ৮/১/২৩ইং। মামলা দায়েরের পরপরই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সেনবাগ থানার পরির্দক (তদন্ত) অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে। অপর আসামীকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি-তদন্ত রুহুল আমিন।
ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান,গ্রেফতারকৃতদের সোমবার সকালে নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ ও ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।