বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, বাংলাদেশের রেশম শিল্পকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এই শিল্পকে লাভজনক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার এ খাতে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। রেশম শিল্পকে এমন মডেল হিসেবে তৈরি করতে চাই যাতে ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী তা অনুসরণ করা হয়। গতকাল রোববার দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্মৃতিকে ধরে রেখে রেশম শিল্পকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হতে হবে। রেশম বাংলাদেশের ঐতিহ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। এই শিল্পের ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে এ শিল্পকে আধুনিকায়ন করা হবে। রেশমের সুতা উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁত শিল্পকে অধিকতর মানসম্পন্ন করে তুলবে।’ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘রেশম শিল্পকে লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠায় আমাদের তৎপর হতে হবে। এটা নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে, যেন আমরা রেশম ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারি।’ রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী তুঁতচাষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানান তিনি। গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরির জন্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ অপরিহার্য। এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমদানি করা সুতার ওপরে প্রায় ৬০ শতাংশ করারোপ করার পরেও প্রতিযোগি দেশের সঙ্গে পেরে উঠছি না। আমাদের হয়তো প্রযুক্তিগত কোথাও না কোথাও ঘাটতি রয়েছে। আমাদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। যাতে আমরা বিদেশের চেয়ে ভালোমানের সুতা ও কাপড় উৎপাদন করতে পারি।’ এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহী মানে রাজশাহীর সিল্ক। এটাকে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা সরকার করবে। সেজন্য এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রেশম শিল্পকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকার বদ্ধপরিকর।’ সভায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুর রউফ, রাজশাহী বিভাগীয় কমমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ এনডিসিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।