রাজশাহীর তানোরে কামারগাঁ ইউনিয়নের মহাদেবপুর সরদারপাড়া গ্রামে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও ধরছেনা পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়েছে ওই বিএনপি নেতা গোলাম আজম ও তার লোকজন। তাদের এমন অব্যাহত হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাক্কার ও তার পরিবার বলে ভুক্তভোগী সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি নেতা গোলাম আজমের নেতৃত্বে এসব করা হচ্ছে। তিনি বহিরাগতদের নিয়ে দিলরুবার বাড়িতে আস্তানা গড়ে তুলেছেন। গোলাম আজমের নেপথ্যে মদদে দিলরুবার বাড়িতে প্রতি রাতে বহিরাগতের নিয়ে বসে আসর।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মহাদেবপুর মৌজায় মৃত জানু মন্ডল ওরফে জানিপ মন্ডলের ১৮ বিঘা জমি পুত্র আতাউর ও বাক্কারকে ওছিয়তনামা দলিলে রেজিষ্ট্রি করে দেন। গত ১৬ ডিসেম্বর গোলাম আজম বহিরাগত ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসব জমি দখল করতে যায়। এ সময় জমির মালিক বাক্কার আলী বাধা দিতে গেলে তাকে হাসুয়া দিয়ে কোপানো হয়। খবর পেয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানরা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় এবং বেধড়ক মারপিট ও শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়।
তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এসে তাদের উদ্ধার ও তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আতাউর রহমান বাদি হয়ে সম্প্রতি এক সপ্তা আগে থানায় অভিযোগ দেন। কিন্তু থানা পুলিশ গোলাম আজমের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলা নেয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে গোলাম আজম ও খোকন ছাড়াও ১২ জনের নামে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত তা আমলে নিয়ে থানায় এজাহার হিসেবে গণ্য করে ওসিকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পুলিশ এখানো আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এবিষয়ে উপজেলার কামারগাঁ ইউপি সদস্য তোফায়েল জানান, কাগজ যার জমি তার। আমি যতটুকু জানি আতাউর ও বাক্কারের জমি দখল নিতে বিএনপি নেতা গোলম আজম ও হাবিবুর রহমান খোকন তাদের চাচা-চাচীকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। আমি চাই দ্রুত গোলাম আজমসহ তাদের আটক করা হোক।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তানোর থানার এসআই নাসির উদ্দিন জানান, আসামিরা পলাতক তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে এড়িয়ে গেছেন তিনি।