রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রেজিষ্ট্রেশন বিহীন ট্রাক্টর দিয়ে পুকুর খননের মাটি বহনের চলছে মহোৎসব। বর্তমানে মোহনপুর উপজেলার রাতে ও দিনে প্রায় ৮/১০ টি পয়েন্টে চলছে পুকুর খনন। প্রতিটি পুকুর থেকে ট্রাক্টরের মাধ্যমে মাটি বহন করা হচ্ছে। এসব ট্রাক্টরে মাটি বহণের ফলে গ্রামীণ সড়ক গুলো ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিণত হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই। অধিকাংশ ট্রাক্টরগুলোর নেই কোন রেজিষ্ট্রেশন। ফলে এক দিকে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত, অপর দিকে গ্রামীণ ছোট বড় সড়কগুলো ভেঙ্গে সরকারের কোটি কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এসব অবৈধ ট্রাক্টরের যন্ত্রনায় লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। ট্রাকক্টরের সাথে উড়ে যাওয়া ধুলো বালিতে মানুষের যেমন শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, তেমনি ভাবে দিবানিশি শব্দ যন্ত্রনায় মানুষ ঘুমাতে বা স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেনা। এসব গাড়ী শীত মৌসুমে বাসা বাড়ি তৈরী বা পুকুর খননের মাটি বহন করে থাকে। ট্রাক্টর গুলো কাঁচা ও পাকা রাস্তায় উপর দিয়ে চলাচল করলে কয়েক ইঞ্চি কাদা রাস্তায় আকড়ে ধরে থাকে। এতে অন্যান্য গাড়ি চলাচলে মারত্বক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টিপাত হলে মোটর সাইকেল বা অটোরিক্সা সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়ি পিচলে গিয়ে মারাত্বক দূর্ঘটনা ঘটে। যেসব রাস্তা দিয়ে ট্রাকক্টর চলাচল করে সেই এলাকায় আধা কিলোমিটার জুড়ে বন জঙ্গলের গাছে রতা পাতায় ধুলো বালির চিহ্ন দেখা যায়। তাছাড়া মানুষের চলাচলের সময় নাকে ও মুখের ভিতর ধুলো বালি ঢুকে বিভিন্ন রোগ জিবানু সৃষ্টি হচ্ছে।
মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় রাস্তায় রাতে ও দিনে প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর চলাচল করতে দেখা গেছে। এসব ট্রাক্টর মালিকরা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে শীত মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন পুকুর থেকে মাটি কাটার কাজে ব্যবহার করছেন। এসব ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। এ বিষয়ে কয়েকজন ট্রাকক্টর ড্রাইভারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ট্রাক্টর গাড়ি চালিয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন,শিঘ্রই এসব ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।