প্রেমিকা থাকেন চট্টগ্রামে। তার সাথে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজন একটি স্মার্ট ফোন। ফোন ক্রয়ের টাকা নেই হত্যাকারীর কাছে। সমবয়সী প্রতিবেশী এক বন্ধু নতুন মোবাইল কিনেছে। সে পরিকল্পনা করে বন্ধুকে মেরে ফোনটি নিয়ে যাবে। হত্যাকারী একাই প্লান করে বন্ধুকে খেলতে আসার প্রলোভন দিয়ে নিয়ে আসে চলাভাঙ্গা দরবার শরীফের পিছনের ধানক্ষেতে। সেখানে সে বন্ধুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে মোবাইল নিয়ে চট্টগ্রামে পালিয়ে যায়। এমন স্বীকারোক্তিমুলক বক্তব্য দিয়েছে বরগুনার বামনা উপজেলার উত্তর কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আ.রহিম ওরফে আলাউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো.রুবেল(১৬)। সে উপজেলা দক্ষিণ গুদিঘাটা গ্রামের মো. খলিল হাওলাদারের ছেলে ও পাথরঘাটা উপজেলার মাদারতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণী শিক্ষার্থী।
বামনা থানাপুলিশ গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারী রুবেলকে চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন।
মঙ্গলবার(১০ জানুয়ারী) সকালে হত্যাকারী রুবেলকে বামনা থানাপুলিশ ১৬৪ ধারার জবান বন্দী রেকর্ড করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের নিকট পাঠায়।
জানাগেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের চলাভাংগা দরবার শরীফের পিছনের ধানক্ষেত থেকে উত্তর কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আ.রহিম ওরফে আলাউদ্দিন নামে এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস লাগনো মরদেহ উদ্ধার করে বামনা থানা পুলিশ। নিহত আলাউদ্দিন উত্তর গুদিঘাটা গ্রামের আমীর হোসেন খান এর ছেলে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে নিহতের মা রোজিনা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামি করে বামনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বামনা থানাপুলিশ মুল হত্যাকারী সনাক্ত করে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেন।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশিরুল আলম জানান, আলাউদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইলের সূত্র ধরে হত্যাকারী রুবেলকে চট্টগ্রাম থেকে মোবাইল সহ গ্রেপ্তার করি। প্রাথমিক ভাবে রুবেল আমাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। রুবেলের ১৬৪ ধারার জবান বন্দী রেকর্ড করার জন্য বিজ্ঞ আদালতের বিচারকের কাছে পাঠানো হয়েছে।