রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা এলাকায় এক ব্যক্তি পুলিশের মারপিটে নিহত হয়েছে এমন অভিযোগে থানা ঘেরাও ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর। ওই মামলায় পুলিশ সোমবার রাতে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হারাগাছের সারাই আমবাজার এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র নাহিদ হাসান, দালালের হাট নয়াটারি এলাকার মৃত আবদুল মান্নানের পুত্র লাল মিয়া, নতুন বাজার এলাকার মৃত আবদুস সামাদের পুত্র বাবু মিয়া, সারাই সাহেবপাড়া এলাকার এনামুল ইসলামের ছেলে কাঞ্চন মিয়া ও সাহেব পাড়া এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র শুভ। তাদেরকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানাগেছে, ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর হারাগাছের দালালের হাট নয়াটারি এলাকার শাকাওয়াত হোসেনের পুত্র তাজুল ইসলাম (৫৫) কে হারাগাছ থানার পুলিশ আটক করে। এর কিছুক্ষণ পরেই তাজুল ঘটনাস্থলে মারা যান। তাকে পুলিশে পিটিয়ে মেরেছে এমন কথা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। উত্তেজিত জনগণ এ সময় একটি ভ্যান, ৫টি মটর সাইকেল ও দরজা-জানালার ব্যাপক ভাঙচুর করে। পরে রংপুর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ বলছে তাজুল মাদকাশক্ত ছিল। সে হেরোইন সেবন ও বিক্রি করত। পুলিশ তাকে আটক করলে সে হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদল লোক থানায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে থানা ভাঙচুরের মামলা করেন। ওই মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হারাগাছ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।