সকালের রৌদ্রে হাওরে মাইলের পর মাইল তাকালে দেখা যায় সবুজের সমারোহ। মনে হয় যেন হাওরে নতুন বৌ হলুদ কাপড় পড়ে হাটছে। এরই ধারাবাহিকতায় কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচর, অষ্টগ্রাম, ভৈরব, কটিয়াদীসহ ১৩টি উপজেলায় এবছর আবহাওয়া অনুকূল থাকার কারণে সরিষার ফুলের মধ্যে কোনো ধরনের রোগ বালাই হয়নি। এর ফলে এবছর প্রতি একরে ৭০-৮০ মণ দর সরিষা ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। গত বছর কিশোরগঞ্জসহ সারাদেশে সরিষার জমি কম লাগানোর ফলে সরিষার দাম আকাশচুম্বি হয়ে গিয়েছিল। এবছর কৃষকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে মাঠের পর মাঠ সরিষার ফসল করছেন। প্রতি মণ সরিষার দাম বর্তমানে ২,০০০ টাকা থেকে ২,৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব কারণে হাওরের কৃষকরা সরিষা ফলনে উ™ু¢দ্ধ হয়েছে। প্রতিদিন কৃষকরা জমিতে গিয়ে ক্ষেতগুলোকে পরিচর্যা করে যাচ্ছেন। যখন যে ঔষধের দরকার তারা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে কৃষকরা জমিতে ফসল ফলানোর জন্য ব্যস্ত আছেন। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, কৃষকদের এবছর ভালো ফলন হবে বলে অনেকে মন্তব্য করেন। তবে সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। বাজিতপুর কৃষি কর্মকর্তা এবিএম রকিবুল হাসান বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আবহাওয়া অনুকূল হওয়ার সরিষার ফলন বাম্পার হতে পারে বলে ধারণা করছেন।