মেহেরপুরের গাংনীতে দুটি সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মারাত্বক ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ। চলাচলের জন্য স্থানীয়রা কিছু বাঁশ খুটি দিয়ে সেতু দুটি কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। আর এলজিইডির প্রকৌশলী বলছেন সেতু নির্মানের জন্য প্রক্রিয়া চলছে।
তেরাইল-দেবিপুর ও ছাতিয়ান-কুমারিডাঙ্গা সড়কে দুটি সেতু ভেঙ্গে পড়েছে। মারাত্বক ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছে লক্ষাধিক মানুষ। পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য স্থানীয়রা কিছু বাঁশ খুটি দিয়ে সেতু দুটি কোন রকমে চলাচলের উপযোগী করলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
উভয়পাশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্য প্রায় ৩০ বছর পূর্বে সেতু দুটি নির্মান করে এলজিইডি। সেতু দুটি ৪ বছর আগে ভেঙ্গে যাওয়ায় তা সংস্কার বা পূর্ণঃ নির্মাণে এলজিইডি উদ্যোগি না হওয়ায় মরণফাঁদ জেনেও বাঁশ খুটি দিয়ে কোন রকম চলাচল করছে এলাকবাসি। তবে সারাক্ষণ দূর্ঘটনার ভয় তাড়া করছে সেতু দিয়ে দিয়ে যাতায়াত কারীদের। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল দূর পথ দিয়ে ঘরে উঠাতে হচ্ছে। এতে বেশি খরচ হচ্ছে। এই এই দুটি সেতৃ দিয়ে ঝুকি নিয়ে মোটরসাইকেল ও স্যালো ইঞ্জিনচালিত যানগুলো পার হতে গিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ইতোপূর্বে সেতু দুটি নির্মানে আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
দূর্ভোগের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে দ্রত সেতু দুটি নির্মাণ করে জনগনের দূর্ভোগ লাঘব করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসিরা।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন ধরে সেতৃর নীচে বাঁশের ঠেকনো দিয়ে রেখে কোন রকম চলাচল করা হচ্ছে। এই সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন মাঠের ফসল ঘরে তুলতে মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় কৃষকদের। সেতু দুটি নির্মাণ করা হলে জনদুর্ভোগ কমে যাবে আর চাষিদের ঘরে ফসল তুলতে কোন দুর্ভোগ পোহাতে হবে না এমনকি বাড়তি খরচও হবেন।
গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন ,কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেছে। সেতু দুটির টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে কাজ শুরু হবে।