মালয়েশিয়া প্রবাসী যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ১১ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৮ এর সদস্যরা। বুধবার দুপুর একটার দিকে বরিশাল নগরীর রূপাতলীস্থ র্যাব-৮ এর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমান্ডিং অফিসার ও পরিচালক লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসন পিবিজিএম, পিএসসি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন রাজনগর ঠাকুরকান্দি এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দানেশ সরদার (৩৫) নামের একজন প্রবাসী যুবক হত্যার শিকার হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা সোনা মিয়া সরদার বাদি হয়ে নড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাদি তার এজাহারে উল্লেখ করেন, নিহত মো. দানেশ সরদার বিগত দশ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। ঘটনার তিন মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। পরবর্তীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে নড়িয়া থানার ঠাকুরকান্দি গ্রামের লোকমান আকনের বাড়ির সামনের পাঁকা রাস্তার উপর বসে দেশীয় অস্ত্রেসজ্জিত হয়ে প্রবাসী দানেশ সরদারকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করা হয়, আর এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৮ (মাদারীপুর ক্যাম্প) গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে ছায়াতদন্ত শুরু করে। তদন্তে হত্যার সাথে জড়িতরা নিজ এলাকা ছেড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আত্মগোপন করার তথ্য উঠে আসে।
পরবর্তীতে র্যাব-৮ এর সিপিসি-৩ (মাদারীপুর ক্যাম্প)’র কোম্পানি অধিনায়ক লেঃ কমান্ডার কেএম শাইখ আকতারের নেতৃত্বে ১০ জানুয়ারি ঢাকার শাহাবাগ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি শরীয়তপুরের নড়িয়া থানাধীন রাজনগর ঠাকুরকান্দি এলাকার জয়নাল মোড়লের ছেলে শাহিন মোড়লকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য মোতাবেক এজাহারভুক্ত আসামি নাছির বেপারী (৩২), কামাল কাজী (২৭), আওয়ার মালথ (৩৫), জব্বার হাওলাদার (৪৫), মিজান বেপারী (৪০) এবং ডিটু বেপারীকে (৩৫), মো. জনি মোড়ল (২২), রাসেল মালথ (৩০), ওয়াহেদ খান (২২) ও দেলোয়ার কাজীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন র্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার ও পরিচালক লেঃ কর্নেল মাহমুদুল হাসন আরও বলেন, মামলার পলাতক থাকা অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতদের শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।