পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতির পর অন্যান্য দেশের মতো সমানভাবে বাংলাদেশও এনার্জি সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এ সংকট মোকাবিলায় গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের বিকল্প সমাধান বের করতে হবে যা শিল্প উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের আয়োজনে সপ্তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি এক ভিডিও বার্তায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সহস্রাব্দ লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম সফল দেশ এবং এখন আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতিতে পরিণত করতে এসডিজি অর্জনের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। এ সময় প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট জাতিতে পরিণত করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাঁচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং আইপিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দা কামরুন নাহার ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মো. সিয়ামুল বাশারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও শাবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এ ছাড়া সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজিজুল হক এবং সম্মেলন সম্পর্কে বিস্তারিত জানান সম্মেলনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম। সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির বিভিন্ন ফিল্ডের আধুনিক অগ্রগতি অনুসরণ ও একাডেমিয়া-শিল্প সম্পর্ক শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ ও স্থাপত্য’, ‘কম্পিউটার সায়েন্স, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স’, ‘কেমিক্যাল, খাদ্য, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং’ এবং ‘মেকানিক্যাল, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং’ এ চারটি বিষয়ের উপর বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের ১৯০টি নিবন্ধ উপস্থাপিত হবে।