কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচর সহ ১৩টি উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এই বছর কৃষকদের মাঝে ভূট্টা চাষে আগ্রহ অধিক বেড়েছে। কারণ প্রতি একর ভূট্টা চাষে ফলন হয় ১০০- ১২০মন। এবছর হাওড়ে হাজার হাজার একর জমিতে কৃষকরা ভূট্টা চাষ করছেন। ভূট্টার জমিতে কৃষকদের খুব একটা খরচ লাগে না। একবার কৃষকরা জমিতে সার ও পানি দিয়ে চলে আসলে তার আর কোন খরচ নেই বলে কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে। শুক্রবার কিশোরগঞ্জের নিকলীর ছাতিরচর হাওড়ে সরে জমিন গেলে কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকার কারণে ভূট্টার জমি গুলো অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর খুবই ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। কৃষকরা আরো বলেন, যদি দূর্যোগ পূর্ণ আবহাওয়া না থাকে তাহলে ফলন খুব ভালো হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষক। প্রতি মন ভূট্টার মূল্য গত বছর হয়েছিল ৮০০-১০০০ টাকা পযর্šÍ তারা বিক্রি করেছেন। প্রতি একর ভূট্টার ফলাতে খরচ হয় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। এখরচ বাদ দিয়ে তাদের ভূট্টা ফলনে লাভ হয় ২৫হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। বাজিতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এ.বি.এম রকিবুল হাসান বলেন, এবছর দূর্যোগ আবহাওয়া না থাকলে হাওড়ের কৃষকরা ভূট্টা ফলনে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দিন দিন ভূট্টার চাহিদা বেড়েই চলেছে। কারণ বিভিন্ন গবাদি পশু থেকে শুরু করে ভূট্টা দিয়ে মানুষের খাদ্য উপযোগী কিছু খাবার তৈরি করা যায় বলে উল্লেখ করেন।