নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঐতিহাসিক মেহেরপুরের মুজিবনগরে হতে যাচ্ছে চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর। ইতোমধ্যে জমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মুজিবনগর স্থল কাস্টমস হিসাবে ঘোষনা করেছেন। চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু হলে এলাকার আর্থসামাজিক মান উন্নয়নের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। তাই চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর দ্রত চালু করার দাবি স্থানীয়দের।
দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক প্রসারে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগরে একটি পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর দীর্ঘদিন দাবি করে আসছিল এ অঞ্চলের মানুষ। গত ২৭ মে ২০২১ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আন্তঃসীমান্ত যাত্রী চলাচল এবং পণ্য আমদানি রপ্তানীর উদ্যেশ্যে মুজিবনগর স্থল কাস্টমস্ হিসাবে ঘোষনা করেছেন। স্থলবন্দরটি বাস্তবায়িত হলে ব্যবসায়িক ভাবে উপকৃত হবে এলাকাবাসী। এদিকে আত্মীয়তার সম্পর্ক রাখতে ও চিকিৎসার প্রয়োজনে অথবা ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত ভারত যেতে হয় এই এলাকার মানুষের। আর এজন্য ব্যবহার করতে হয় চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা কিংবা যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট। এতে মানুষ দূর্ভোগে পড়তে হতো। মুজিবনগর চেকপোস্ট ও স্থলবন্দর চালু হলে এলাকার মানুষের দূর্ভোগ কমার পাশপাশি ব্যবসা বানিজ্য থেকে শুরু করে এলাকার আর্থ সমাজিক মান উন্নয়ন হবে।
এদিকে মুজিবনগর থেকে কলকাতা যাতায়াতের ঘোষণা আসার পর থেকে মেহেরপুর অঞ্চলের সাধারণ মানুষ আনন্দের পাশাপাশি এখন দিন গুণছেন সেই মাহেন্দ্র ক্ষণটির জন্য। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর মুজিবনগরের স্বাধীনতা সড়কটি চেক পোস্ট ও স্থলবন্দর হওয়ায় দু’দেশের মানুষের পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। আবারও মানুষের পদচারণায় মুখরিত স্বাধীনতা সড়কটি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে,ঐতিহাসিক মুজিবনগরে চেকপোস্ট ও স্থল বন্দর হচ্ছে। এতে এলাকার বেশ বেকার সমস্যার সমাধান ও ব্যবসায় উন্নতি হবে। এতে তারা ভিষণ খুশি।
মেহেরপুর জেলা বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল বলেন,আমদানি রপ্তানী, হোটেল ব্যবসা থেকে শুরু করে পরিবহন সহ সকল ক্ষেত্রেই ভুমিকা রাখবে।
মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা বলেন,ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের মানুষ মুজিবনগরকে দেখে যেতে পারবে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা মানুষ গুলোও মুজিবনগরকে দেখে যেতে পারবে। তাই পর্যটনে ব্যাপক সম্ভবনা তৈরি হবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলছেন, চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরটি উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ন তাই এটি দ্রত চালু করা হবে।