ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১০ লাখ টনের বেশি তেজস্ক্রিয় পানি এ বছর সাগরে ছাড়বে জাপান। তবে এসব পানির ক্ষতিকর দিকগুলো মিটিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট মাত্রায় পরিশোধন করা হয়েছে। খবর: বিবিসি’র। আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিও (আইএইএ) জানিয়েছে, ‘এই পানি এখন সাগরে নিষ্কাশন করা নিরাপদ। এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে না।’ তবে সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলো থেকে আপত্তি উঠছে বলেও জানিয়েছে আইএইএ। জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, “এই বসন্ত বা গ্রীষ্মের মধ্যে কোনো একসময় এই নিষ্কাশন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। আমরা এখন আইএইএ’র বিস্তারিত একটি প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছি। প্রতিদিন প্ল্যান্টটি ১০০ কিউবিক মিটার দূষিত পানি উৎপাদন করে, যা ভূগর্ভস্থ পানি, সমুদ্রের পানি এবং চুল্লিগুলোকে ঠান্ডা রাখতে ব্যবহৃত পানির সংমিশ্রণ। তারপর তা ফিল্টার করে ট্যাঙ্কে সংরক্ষণ করা হয়। ট্যাংকিটর ধারণ ক্ষমতা ১৩ লাখ ঘনমিটারের বেশি।” রাশিয়ার চেরনোবিলের ঘটনার পর জাপানের ফুকুশিমায় ২০১১ সালে ঘটে যাওয়া পরমাণু বিপর্যয়কে সবচেয়ে ভয়াবহ হিসেবে দেখা হয়। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হয় এবং এর ফলে সৃষ্ট সুনামি ফুকুশিমার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে আঘাত হানে। ফুকুশিমার তেজস্ক্রিয়তা নিশ্চিতের কাজ চলমান রয়েছে। তবে এটি সময়সাপেক্ষ, চার দশকের মতো সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।