গত বছরের আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আফগান নারীদের কোণঠাসা করে রেখেছে তালেবান সরকার। নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ থেকে শুরু করে এনজিওতে কাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নারীদের দমন-পীড়ন বন্ধে জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার একান্ত বৈঠকে বসেন নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্য। আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপানের অনুরোধে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গত বছর আশরাফ গণির সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসার পর অনেক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান প্রশাসন। নারীদের জনসমাগম স্থানে চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ, উচ্চমাধ্যমিকএবং উচ্চ শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ বিষয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে পশ্চিমা বিশ্বে। তালেবান প্রশাসনকে কঠোরভাবে সতর্কও করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইশিকানে কিমিহিরো নিরাপত্তা পরিষদে ১১ সদস্যের পক্ষে বক্তব্যে তালেবান নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহারে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানান। অন্য ১১ দেশের আলবেনিয়া, ব্রাজিল, ইকুয়েডর, ফ্রান্স, গেবন, জাপান, মাল্টা, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতেরাও উপস্থিতি ছিলেন। আফগান নারী ও মেয়েদের অধিকারের প্রতি সম্মান এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শিক্ষা, পাবলিক প্লেসে তাদের যাতায়াতের সমান সুযোগ দিতে তালেবান প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান ১১ দেশের রাষ্ট্রদূত। একইসঙ্গে নারীদের বিরুদ্ধে যেসব নেতিবাচক পদেক্ষপ নেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরে তালেবান সরকারের সবশেষ নিষেধাজ্ঞার কারণে আফগানিস্তানে কার্যক্রম বাতিল করতে বাধ্য হয় একাধিক আন্তর্জাতিক সহায়কারী সংস্থা। দেশটির মানবিক এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে হতাশা করেছেন তারা।