পিরোজপুরের কাউখালীতে অসহায় দুস্থ নারীরা অনলাইন না বুজায় ও সঠিক তথ্য না জানায় এবং কর্তৃপক্ষের দায়সারা প্রচারণা কারণে অনলাইন আবেদন করতে পারে নি অসহায় নারীরা। ২০২৩ ও ২০২৪ দুই বছরের জন্য এ উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নের ১৫৬৩ জন সুবিধা ভোগী ভিজিটি কার্ডের জন্য দ্বিগুন অনলাইন আবেদন হলেই নির্ধারীত কার্ডের আবেদন যাচাইবাছাই করে সুবিধা ভোগী নির্ধারণ করা যাবে। এই সুবাদে ইউনিয়ন পরিষদ ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছে তারা দায়সারা প্রচারণা করে কোন মতে একজন সুবিধা ভোগীর বিপরীতে দুইটি আবেদন দেখিয়ে একজনের নাম যাচাই বাচাই করে তালিকা ভুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। এই প্রথম বারে মতো অসহায় দুস্থ নারীদের সুবিধা অথ্যাৎ ভিজিটি কর্ডের আবেদনসহ সকল প্রক্রিয়া ডিজিলাইজেশন হওয়া অসহায় নারীরা সময় মতো আবেদন করতে পারেনি। ফলে প্রকৃত অহসায় দুস্থ নারীরা অনেকেই বাদ পরে এদর মধ্যে চিরাপাড়ার মোতাবেল তালুকদারের মেয়ে মোশেদা বেগম, জাকিরে স্ত্রী নারগীস বেগম, গন্ধব্য এলাকার শ্যামল বড়ালের স্ত্রী সুমিত্র রানী,সদর কাউখালী এলাকার সুপ্রিয়া রানী সহ অনেকই দাবি করেন আমার সবচেয়ে অসহায় নারী ভিজিটি কার্ড আমাদের প্রয়োজন। অথচ আমরা সময় মতো সরকারে নির্দেশনা জানতে না পেরে আবেদন করতে পারি নি। তাদের দাবি তাদের কে আবার একটা বর্ধিত সময় দিয়ে আবেদন করার সুযোগ দিয়ে যাচাই বাছাই করে সুবিধা ভোগী তালিকা ভুক্ত করার। উপজেলা ১ নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৫৫৪টি আবেদনের মধ্যে ২৬০জন, ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের মধ্যে ৫২৩টি আবেনের মধ্যে ২২১ জন, ৩নং সদর কাউখালী ইউনিয়নের মধ্যে ১০৪৬টি আবেদনের মধ্যে ৫২৫ জন,৪ নং চিরাপাড়া পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের মধ্যে ৫৫৫ টি আবেদনের মধ্যে ৩০২জন এবং ৫ নং শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের মধ্যে ৫৪৫টি আবেদনের মধ্যে ২৫৫ জন সুবিধা ভোগী তালিকা ভুক্ত করা হয়। এ ব্যাপারে ভিজিটি কার্ডের উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা মহিলা বিষায়ক কর্মকর্তা নুসরাত জাহান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তালিকা পাওয়ার পর উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটি গত ২০ডিসেম্বর ফাইনাল করা হয় তালিকা। নতুন করে কোন আবেদন নেওয়া আর সুযোগ নেই। সদর ইউনিয়নের পরিষদে ইউ পি সচিব আশুতোষ বড়াল জানান, এক মাস ধরে আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে এর পরে তালিকা করা হয়। প্রচার প্রচারণা করাও হয়েছে।