বাবুগঞ্জে কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বরিশালের রহমতপুর কৃষি কলেজের ছাত্রী কেয়া আক্তার রত্না (২০)। শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে সে কলেজের ছাত্রীনিবাসের কক্ষে ফ্যানের হুকের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। রত্না কৃষি কলেজের চতুর্থ সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী। প্রেমিক মো. অন্তর আলী একই প্রতিষ্ঠানে রত্নার সহপাঠী। তাকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। এ তথ্যের সতত্যা নিশ্চিত করে বিমান বন্দর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. জামাল হোসেন জানান, অন্তর আলীকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা দায়ের করেছেন রত্নার পিতা মো. বশির মিয়া। ওই মামলায় অন্তর আলীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরিদর্শক আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অন্তর আলী রত্মার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে। কৃষি কলেজের ছাত্রী নিবাসের হোস্টেল সুপার জ্যেতিকা পাল জানান, রাত ৩টার দিকে ছাত্রীনিবাসের অন্যান্য ছাত্রীরা তাকে মুঠোফোনে জানায় যে কক্ষের ছাত্রী রত্না আত্মহত্যা করেছে। তিনি তাৎক্ষনিক ছাত্রীনিবাসে যান এবং বিমান বন্দর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তখন নারী পুলিশ না থাকায় পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম চালায়নি। সকাল ৮টার দিকে নারী পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
জ্যোতিকা পাল আরো জানান, ওই রাতে রত্না তার কক্ষে একা ছিল। প্রেমিক সহপাঠী অন্তর আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রায়ই ঝগড়া চেঁচামেচি করতো রত্না। এ কারণে তার কক্ষের অপর ছাত্রী পাশের রুমে গিয়ে থাকতো। রোববার সকালে মৃতদেহ উদ্ধারের পর অন্তর আলীকে শিক্ষক কক্ষে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে রত্নার সঙ্গে প্রেম ও মনোমালিন্যের বিষয় স্বীকার করেছে।
কলেজের নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী কেয়া আক্তার রত্মা পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ছোট ডাকুয়া গ্রামের বশির মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে প্রেমিক অন্তর আলী গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার হাতিয়া গ্রামের রাজু আহমেদের ছেলে। তারা উভয়ে রহতমপুর কৃষি ইনষ্টিটিউটে চতুর্থ সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী ছিল।