কুড়িগ্রামে প্রতি পরিবারের একজন চাকুরি পাবার বিশেষ কর্মসূচি ’ন্যাশনাল সার্ভিস’ প্রকল্প স্থায়ীকরণের দাবিতে জেলা শহরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বেকার যুবক-যুবতীরা। রোববার দুপুরে শহরের কলেজ মোড়ে এ অবস্থান কর্মসূচিতে ন্যাশনাল সর্ভিস প্রকল্পে আওায় পূর্বে কাজ করা দুই সহস্রাধিক বেকারকর্মী অংশ নেয়। মানববন্ধন কর্মসূচির পাশাপাশি কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন কর্মসূচি চলায় কুড়িগ্রাম-উলিপুর-চিলমারী সড়ক এবং জেলা প্রশাসন কার্যালয় যাওয়ার সড়কে সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে শহরবাসী পড়ে চরম দুর্ভোগে। দুপুর একটা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়। বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদ কুড়িগ্রাম জেলা শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিক হাসান রাজা, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি কেএম রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মো: মাইদুল ইসলাম, নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান রাজু প্রমুখ। দরিদ্র পীড়িত এ জেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প স্থায়ীকরণের দাবি জানান বক্তারা। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার আন্দোলনকারী আসাদুজ্জামান জানান, ন্যাশনাল সার্ভিসে কাজ করতে গিয়ে আমি সরকারি চাকুরির বয়স হারিয়েছি। সরকার যেহেতু ঘরে ঘরে চাকুরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সে অনুযায়ী আমি ভেবেছিলাম ন্যাশনাল সার্ভিস স্থায়ীকরণ করা হবে। কিন্তু দুই বছর যখন শেষ হয়ে গেল তখন আমি আবারো বেকার হয়ে গেলাম। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি। আমি চাই ন্যাশনাল সার্ভিস স্থায়ীকরণ করা হোক। বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি কেএম রমজান আলী জানান, কুড়িগ্রাম জেলায় ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিতে প্রায় ৩৮ হাজার বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হয়। পরে সরকার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি বন্ধ করে দিলে এসব কর্মী আবারও বেকারত্ব বরণ করে।