যত দিন যাচ্ছে শীতটা তত জাঁকিয়ে বসছে। হাড়ে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয়ার মত শীত। লেপণ্ডকম্বলের নিচ থেকে বের হতে মন চায় না কারোরই। কিন্তু কাজ? কাজ তো আর শীত মানে না। বাঁধ্য হয়েই বেরোতে হয় আরামদায়ক লেপণ্ডকম্বলের নিচ থেকে। হাজিরা দিতে হয় কর্মস্থলে শীতে কাঁপতে কাঁপতে। মনে মনে শীতের প্রকোপকে গালমন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু কেমন হয় যদি হাড় কাঁপানো শীতটি যদি কমিয়ে ফেলা যায়? অবাক হলেন? ভাবছেন প্রাকৃতীক এই শীত আবার কীভাবে কমিয়ে ফেলা যায়? আসলেই যায়। কিছু সহজ উপায় আছে যা এই হাড় কাঁপানো শীতকে আপনার কাছ থেকে রাখবে অনেক দূরে। একটু কষ্ট করে এই কাজগুলো করে ফেলুন। দেখবেন শীতকে আর অনুভবই করতে পারছেন না।
লেপণ্ডকম্বলের তল নিচ বেরিয়ে আসুন
আপনি যত লেপণ্ডকম্বলের নিচে শুয়ে-বসে থাকবেন শীত ততই আপনাকে পেয়ে বসবে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে লেপণ্ডকম্বলের নিচে বসে থাকবেন না। রাতে ঘুমানোর আগে সকালের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। লেপের নিচ থেকে বেরিয়ে আসতে বেশি শীত লাগলে রাতে গরম কাপড় পরেই ঘুমোতে যান। আর তাতে সমস্যা বোঁধ করলে একজোড়া মোজা পড়ে ঘুমুতে যান। এতে সকালে উঠে লেপের নিচ থেকে বের হলে বেশি শীত লাগবে না। শীত লাগা কমাতে চাইলে একটু কষ্ট করে লেপের তল থেকে বেরিয়ে আসুন।
জগিং বা দৌড়োতে বেরিয়ে পরুন
শীতকে দূর করতে চাইলে লেপণ্ডকম্বলের আরাম বিসর্জন দিয়ে একটি গরম কাপড় পরে বাইরে বেরিয়ে পরুন জগিং করতে বা দৌড়োতে। শীত কোথায় পালাবে টেরও পাবেন না। খানিকক্ষণ জগিং করলেই ঠাণ্ডা ভাব একদমই চলে যাবে। এবং সকালের হাওয়ায় মনও সতেজ থাকবে।
শারীরিক ব্যয়াম করুন
যদি জগিং বা দৌড়নোর সময় বা সুযোগ না থাকে তবে সকালের শীত দূর করতে চাইলে ঘুম থেকে উঠে শারীরিক ব্যয়াম করুন। ১০-১৫ মিনিট ব্যয়াম করে নিন। এতে শীত তো দূর হবেই পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
গোসল করুন
শীতকালে গোসল করাকে সবাই অনেক ভয় পান। ঠাণ্ডা বেড়ে যায় বলে একটি ভুল ধারণা থেকেই এই ভয়ের জন্ম। গোসল করলে ঠাণ্ডা বাড়ে না বরঞ্চ অনেক কমে যায়। গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। আর ব্যবহারের তোয়ালে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে কিংবা চুলোর ওপর সেঁকে খানিকটা গরম করে নিতে পারেন। এতে করে ঠাণ্ডা ভাব আরও কমে যাবে।
দেহ গরম করে এমন খাবার খান
শীতকালে শরীর গরম করে এমন খাবার খাওয়া বেশ ভালো শীত কমাতে। চা, কফি ও স্যুপ জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে চা কফি খুব বেশি পান করবেন না। এর পরিবর্তে হট চকোলেট খেতে পারেন বা অন্যান্য গরম পানীয় পান করতে পারেন। খাবারের মধ্যে মোটামুটি ঝাল মশলা জাতীয় খাবার খাবেন। কারণ ঝাল ও মশলা শরীর গরম করতে বেশ সহায়ক। আদা শরীর গরম করতে বেশ কার্যকরী। যে কোন খাবারে সামান্য আদা যোগ করে শরীর গরম রাখতে পারবেন।
সঠিক গরম কাপড় পড়–ন
গরম কাপড় নির্বাচনে কোন ভুল করবেন না। কারণ শীত দূর করার জন্য শীতের কাপড় অবশ্যই দরকার। জ্যাকেট, সোয়েটার, হাত মোজা, পা মোজা, মাফলার ও কান টুপি সবই শীতের কাঁপুনি দূর করতে প্রয়োজন। বিশেষ করে যখন আপনি বাইরে বেরোতে যাবেন। শীতকালে জুতো নির্বাচনে অবশ্যই ঢাকা জুতো বা বুট জুতো রাখবেন। শীতের জন্য আটঘাট বেধেই নামুন। শীত ঠিকই পালাবে।