ইউক্রেন জুড়ে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। গত শনিবার পূর্বাঞ্চলীয় ডিনিপ্রোতে একটি নয় তলা আবাসিক ভবনে রুশ হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের আঞ্চলিক গভর্নরের বরাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। ডিনিপ্রোপেট্রোভস্কের গভর্নর ভ্যালেন্টিন রেজনিচেঙ্কো মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, রাশিয়ার হামলায় ২০জন নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ৪০ জনেরও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ডিনিপ্রোর কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত ছয় শিশুসহ ভবন থেকে ৭৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অবশ্য আবাসিক এই অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকটি কেন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে সে সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য নেই। কারণ এই ভবনটি নিকটতম বিদ্যুৎ অবকাঠামো থেকে কিছুটা দূরে। ডিনিপ্রো ছাড়াও গত শনিবার রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ এবং ওডেসাসহ আরও কয়েকটি শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে রাশিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ মিসাইল হামলার পর ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশই এখন জরুরি ব্ল্যাকআউটের মধ্যে রয়েছে। মূলত শনিবারের হামলায় বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুতের অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এদিকে, যুক্তরাজ্য কিয়েভের প্রতিরক্ষায় সহায়তা করতে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ‘চ্যালেঞ্জার্স’ অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক চ্যালেঞ্জার্স, রুশ সেনাদের পেছনে ঠেলতে কিয়েভের বাহিনীকে সাহায্য করবে। গত শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ করলেই বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধ করা যেতে পারে। রাতের ভাষণে তিনি বলেন, রাশিয়ার নিক্ষেপ করা ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্রর মধ্যে ২০টিরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনারা ধ্বংস করেছে। জেলেনস্কি বলেন, এর জন্য কী দরকার? যে অস্ত্রগুলো আমাদের মিত্রদের ডিপোতে রয়েছে এবং সেগুলোর জন্য আমাদের সৈন্যরা এত অপেক্ষা করে আছে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিযার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহ করলে রুশ অভিযান আরও তীব্রতর হবে এবং আরও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটবে।