টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্বইজতেমার আখেরি মোনাজাতে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, নিরাপত্তা, শান্তি. ঐক্য, মুক্তি এবং ইহ ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনা করে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে কাকুতি মিনতি জানানো হয়। গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমীন, আল্লাহুম্মা আমীন’ ধ্বনিতে সকালের আকাশ-বাতাস কাপিঁয়ে মহামহিম ও দয়াময় আল্ল¬াহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে অপার করুণা ও অশেষ রহমত কামনা করেছেন দেশ-বিদেশের অগণিত ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
লাখো মানুষের কাঙ্খিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল জামে মসজিদের খতীব হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের।
সকাল ৯ টা ৫৭ মিনিট থেকে শুরু করে ১০ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ২৩ মিনিট স্থায়ী আবেগঘন আখেরী মোনাজাতে অযুতকন্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহীম আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। মনীব-ভৃত্য, ধনী-গরীর, নেতা-কর্মী নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশা-গোষ্ঠীর মানুষ পরওয়ারদেগার আল্লাহর দরবারে দু’হাত তুলে নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
দক্ষিণে খিলক্ষেত, উত্তরে গাজীপুর চৌরাস্তা, পূর্বে টঙ্গী বিসিক শিল্পনগরী ও পশ্চিমে আশুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত বিশাল জনসমুদ্র থেকে সকালের আকাশ কাপিয়ে ধ্বনি উঠে- ‘হে আল্লাহ, হে আল্লাহ।’ মুঠোফোনে এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরো লাখ লাখ মানুষ এক সঙ্গে হাত তুলেছেন পরওয়ারদিগারের শাহী দরবারে। গুনাহগার, পাপী-তাপী বান্দা প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চেয়ে কান্নায় বুক ভাসিয়েছেন।
সকাল থেকে দিক নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখো মানুষের প্রতীক্ষার অবসান ঘটে বেলা ৯ টা ৫৭ মিনিটে। জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তুলেন আল্লাহর দরবারে। আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে গতকাল রেকর্ডসংখ্যক মুসলমান যেন ভেঙে পড়েছিলেন টঙ্গীতে। সকল পথের মোহনা হয়ে উঠে তুরাগ তীরের ইজতেমা নগরী। রাজধানী ঢাকা ছিল প্রায় ফাঁকা। টঙ্গী, গাজীপুর, উত্তরাসহ চারপাশের এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা, মার্কেট, বিপনীবিতান, অফিসসহ সব কিছু ছিল বন্ধ। সকলের প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লিদের সাথে মোনাজাতে শরীক হয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। ২৩ মিনিটের আবেগঘন মোনাজাতে হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের প্রথম ১০ মিনিট মূলত: পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। শেষ ১৩ মিনিট তিনি বাংলা ও উর্দু ভাষায় দোয়া করেন।
মোনাজাতে যা বলা হল : বিগত বছরের মতো এবারও আরবির সঙ্গে বাংলা ও উর্দু ভাষায় বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। কাকরাইল জামে মসজিদের খতীব হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জুবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
হেদায়েতি বয়ান : তাবলিগের রীতি অনুযায়ী ইজতেমার মোনাজাতের দিন বাদ ফজর কোন বয়ান হয় না। তবে সকাল ৮টা থেকে হেদায়েতি বয়ান করা হয়। গতকাল সকাল ৮টা থেকে ৯.৫০টা পর্যন্ত হেদায়েতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আবদুর রহমান। তাঁর বয়ান বাংলায় ভাষান্তর করেন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল মতিন। মাওলানা আবদুর রহমান সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদেরকে ইমান, আমল ও দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, নবী-রাসূলগণ দুনিয়াতে এসেছেন, দ্বীনের দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন দাওয়াতের কাজে বের হবো তখন দোয়া করে বের হবো। তিনি বলেন, হেদায়েত পেতে হলে মেহনত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মেহনত হবে সুন্নতি তরিকায়। তিনি বলেন, আমাদের ইমানকে নতুন করতে হবে, তাজা করতে হবে। নবী করিম (স.) সাহাবায়ে কেরামের ইমান তাজা করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।
মোনাজাতপূর্ব সমাপনী বয়ান : ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা আখেরি মোনাজাতপূর্ব সমাপনী বয়ান পেশ করেন। তিনি তার বয়ানে বলেন, আমাদের ইবাদত সুন্দর করতে হবে। ইবাদতের মধ্যে সর্বপ্রথম নামাজ। নামাজ যেন সুন্নত তরিকায় হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, নবি করিম (সা.) যেভাবে নামাজ পড়তেন আমাদের নামাজও যেন সেরকম করতে হবে। কারো দেখা দেখি নামাজ পড়া যাবে না। নামাজ পড়তে হবে খুশু-খুযুর সাথে। তিনি আরও বলেন, আল্লাহতায়ালা আমাদের মধ্যে যাদের মাল দিয়েছেন তারা যেন মালের হক আদায় করি। আমাদের মালের মধ্যে অন্যের হক রয়েছে। তাই মাল দিয়ে অন্যের হক আদায় করতে হবে। সবাইকে দ্বীনের উপর চলতে হবে। আর মানুষকে দ্বীনের উপর আনতে হলে দাওয়াতের মেহনত করতে হবে। তিনি বলেন, নিজের জিন্দেগীর গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহ কাছে কান্নাকাটি ও রোনাজারি করে দোয়া করতে হবে। দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহপাক আমাদের অতীতের কৃতকর্ম ক্ষমা করে দিবেন।
ভিআইপিদের মোনাজাতে অংশগ্রহণ : বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী সিদ্দিকউল্লাহ চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকাণ্ড১৮ আসনের এমপি হাবিব হাসান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
মোনাজাতে মুসল্লি¬দের বাঁধভাঙ্গা জোয়ার : আখেরি মোনাজাতে শরীক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে র্ধমপ্রাণ মুসল্লিগণ টঙ্গী অভিমুখে ছুটতে থাকেন শুক্রবার থেকেই। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও কেবলমাত্র আখেরি মোনাজাতে শরীক হতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিগণ বাস, ট্রাক, পিকআপ, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেন, লঞ্চ-ষ্টিমারে করে টঙ্গীতে পৌছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ভিড় এড়াতে নানা ঝক্কি ঝামেলা উপেক্ষা করে রাতেই টঙ্গীমুখো হয়। রাজধানী ঢাকার সরকারি বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বত্রই ছিল পূর্ণ ছুটির আমেজ। শনিবার রাত ১২টার পর থেকে টঙ্গীমুখি সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। কয়েক লাখ মানুষ রাতেই ইজতেমার মাঠ কিংবা আশপাশের বাসা-বাড়ি, ভবন, ভবনের ছাঁদ কিংবা করিডোরে এমনকি গাছতলায় অবস্থান নিয়েছেন। রোববার ভোররাত থেকে যানবাহন শূন্য সড়ক-মহাসড়ক ও নদীপথে টুপি পাঞ্জাবী পরা মানুষের বাধঁভাঙ্গা জোয়ার শুরু হয়। চারিদিকে যত দূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। সকাল আটটার মধ্যে গোটা এলাকা জনতার মহাসমদ্রে পরিণত হয়।
দ্বিগুণ ভাড়ায় গন্তব্যে ফিরলেন মুসল্লিরা: ঢাকাণ্ডময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোডে কোথাও গণপরিবহণ না থাকায় বিপাকে পড়েছে মুসল্লিরা। কেউ কেউ যানবাহন না পেয়ে বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে রওয়ান দিয়েছেন। দুরের যাত্রীদের বেলায় অন্য চিত্র। তারা যে যেখানেই যেতে চাচ্ছেন তাদের গুনতে হচ্ছে দ্বিগণ ভাড়া। উপায়ান্তর না পেয়ে অনেক মুসল্লিকে মিনিট্রাক ও পিকআপ ভাড়া করে ফিরতে দেখা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ভৈরব থেকে আসা মুসল্লি সাইফুল ইসলাম, সালমান রহমান ও আরিফ হোসেন জানালেন, রাস্তায় যাত্রীবাহি বাসের সংখ্যা একেবারেই কম। যদিও দুই একটি বাস এখন চলতে শুরু করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া যেতে আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আড়াইশ’ টাকা। কিন্তু কিছু কিছু বাস সাড়ে ৩শ’ টাকা ভাড়া নিচ্ছে।
মোনাজাতের পর উবারের মোটর সাইকেলে ঢাকার বাসাবো যাচ্ছিলেন মুসল্লি রায়হান হোসেন ও নজরুল ইসলাম। তারা যুগান্তরকে জানালেন, উবার দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। টঙ্গী থেকে বাসাবো যেতে যেখানে তিনশ’ টাকা ভাড়া লাগে, সেখানে আজ ৬শ’ টাকা ভাড়া নিচ্ছে।
ফিরতি যাত্রায় বিড়ম্বনা : আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার পর এক সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ ফিরতে শুরু করলে সর্বত্র মহাজটের সৃষ্টি হয়। টঙ্গী স্টেশনে ফিরতি যাত্রীদের জন্য অপেক্ষমাণ ট্রেনগুলোতে উঠতে মানুষের জীবনবাজির লড়াই ছিল উদ্বেগজনক। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে ছাদে ও দরজা-জানালায় ঝুলে হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিরতে দেখা যায়। একপর্যায়ে মানুষের জন্য ট্রেন দেখা যাচ্ছিল না। ঢাকাণ্ডময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আশুলিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ফিরতি মুসল্লিদের বিড়ম্বনা ও কষ্টের সীমা ছিল না। ৩-৪ দিন ধরে টঙ্গীতে জমায়েত হওয়া মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাত ও যোহরের নামাযের পর একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে চাইলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হন। হাজার হাজার বৃদ্ধ, শিশু-কিশোর ও মহিলা মাইলের পর মাইল হেঁটে মোনাজাতে শরীক হন এবং একইভাবে ফিরেন। বিকেলে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নতি হয়নি।
ইজতেমায় ৮ মুসল্লির মৃত্যু : ইজতেমায় ময়দানে গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) থেকে রোববার দুপুর নাগাদ ৮জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- ঢাকার বংশালের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে আনিছুর রহমান (৭১), খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার মলমলিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে মুফাজ্জল হোসেন খান (৭০), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানা সদরের আবদুর রশিদের ছেলে আবদুর রাজ্জাক (৭০), নরসিংদি জেলার মনোহরদি থানার মাসিমপুর গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে হাবিবুর রহমান হাবি (৭০), সিলেটের জৈন্তাপুরের নুুরুল হক (৬৩), ঢাকার কেরানিগঞ্জের হাবিবুল্লাহ হবি (৬৮), গাজীপুরের ভুরুলিয়ার আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব (৯০) ও ঢাকার মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগরের আক্কাস আলী শিকদার (৫০) মৃত্যুবরণ করেন। ময়দানে নামাজে জানাযা শেষে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়দানে লাশের জিম্মাদার মাওলানা মুহাম্মদ শাকের।
বিদেশি ৩শটিসহ ৩ হাজার জামাত : ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান বলেন, তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বিদের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী আখেরি মোনাজাত শেষে বিদেশি ৩শটিসহ ৩ হাজার জামাত দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন। এসব জামাতবন্দীদের মধ্যে ৪০ দিন, ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর ও আজীবন চিল্লাধারী মুসল্লিরা রয়েছেন। তারা বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে দাওয়াতি কাজ করবেন।
মুসল্লিদের ময়দান ছাড়ার নির্দেশনা: ইজতেমা ময়দানে প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারী সকল মুসল্লিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে ময়দান ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, সরকার ও ইজতেমা আয়োজক কমিটির নির্দেশে মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে সমবেত মুসল্লিদের ময়দান ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির সন্তোষ প্রকাশ : এবারের বিশ্ব ইজতেমা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় শুকরিয়া জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান। তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির উপস্থিতিতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মুসল্লিদের আসতে এবং ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকায় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সরকারের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত : আগামী ২০ জানুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (ওয়াসিফুল ইসলামপন্থী) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে অংশ নেবেন। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার পরিসমাপ্তি ঘটবে।