কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাসহ চারজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৫৭), জহির রায়হান (৫৮) এবং ভাটি দোয়ারিয়া এলাকার বাসিন্দা ডাক্তার গোবিন্দ বিশ্বাসের (৪৫), একরামপুর গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান মিয়া (৫২) নামে এক চালকের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হান। তাদের সঙ্গে ছিলেন কুলিয়ারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান। সেখান থেকে ফেরার পর তারা অসুস্থতা বোধ করেন। পরদিন রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে হাবিবুর রহমানকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওইদিনই ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে গিয়াস ও জহিরকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর হাসপাতালে মৃত্যু হয় গিয়াস উদ্দিনের। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে জহির রায়হানের মৃত্যু হয়।
এর আগে রোববার রাতে মদ পানের ক্রিয়ায় উপজেলার একরামপুর গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান মিয়া (৫২) নামে এক চালকের মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে জহির রায়হানের মৃত্যু হয়। আর ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গিয়াস উদ্দিন গিয়াস ও ডাক্তার গোবিন্দ বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। এছাড়াও আট থেকে ১০ জন অসুস্থ রয়েছেন।
কুলিয়ারচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার কাছে দাওয়াত খেয়ে নাকি মদপানের পর মৃত্যু হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি কোনটিই না। তাদের মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।