ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে নকশী কাঁথা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে খুলনার সাথে সারাদেশেররেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। রোববার রাত ৯ টার দিকে গোয়ালন্দ থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামি রকশীকাঁথা ট্রেনটি সুন্দরপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে আসার পর একতারপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাঠের মধ্যে পৌছালে ট্রেনের পিছনের৫২২৯ নম্বরের বগিটি লাইনচ্যুত হয়। ঘটনাস্থলটি মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ৬ কিলোমিটার এবং সুন্দরপুর থেকে এক কিলোমিটার। ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে খুলনার সাথে সারাদেশের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন এক্সপেস ট্রেনটি কোটচাঁদপুর রেলস্টেশনে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া খুলনা থেকে ঢাকাগামি রাতের কোন ট্রেন যাত্রা করতে পারেনি। ফলে দুরপাল্লার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ির ইলেক্ট্রিশিয়ান স্বপন জানান, ট্রেনের একটি বগিলাইনচ্যুত হওয়ার পর দুইটা বগি কোটচাঁদপুরে এবং বাকি ইঞ্জিনসহ তিনটিবগি মোবারকগঞ্জ স্টেশনে নিয়ে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর গাড়ির যাত্রীদের মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনে পৌছে দেওয়া হয়েছে। তবে, কখন রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে তা বলতে পারেননি।
এদিকে মোবারকগঞ্জ রেলস্টেশনের মাস্টার শাহজাহান আলী জানান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সুন্দরপুর এলাকায় লাইনচ্যুত নকশিকাঁথা এক্সেেপ্রস ট্রেনের বগি উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। ফলে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর রাত ২টা ৩০ মিনিট থেকে খুলনা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। মোবারকগঞ্জ রেল স্টেশনের মাস্টার শাহজাহান শেখ জানান, রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে। আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর উদ্ধার কাজ শেষ হয়। ফলে রাত আড়াইটা থেকে থেকেই সারাদেশের সঙ্গে খুলনার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। নকশিকাঁথা ট্রেনের ম্যানেজার মোহাম্মদ সাইদ জানান, সুন্দরপুর এলাকায় বাম্পার ভেঙে ট্রেনের চাকাসহদুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর উদ্ধারকারী ট্রেন এসে লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক।