আশাশুনিতে চিংড়ী উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে বাগদা চিংড়ীর পাশাপাশি ভেনামি চিংড়ী চাষ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল ১০.৩০ টায় আশাশুনি এতিম ছেলেমেয়েদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিশারী প্রডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এ- এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ আয়োজনে ফ্রোজেন ফুডস এ- এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান ঝড়-র সভাপতিত্বে কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মূল আলোচনা উপস্থাপন করেন, এ্যাকুয়া কালচার এক্সপার্ট এ- কনসালটেন্ট ড. দিপন বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিছুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আশাশুনি সত্যজিৎ মজুমদার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি ও ফিশারি প্রডাক্ট বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল সদস্য পলাশ ঘোষ প্রমূখ। কর্মশালায় স্থানীয় মৎস্য চাষিদের বাগদা ও গলদা চিংড়ীর পাশাপাশি ভেনামি চাষে উৎসাহিত করার জন্য ভেনামি চাষের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। বাগদা, গলদা ও ভেনামী চিংড়ী চাষের কলাকৌশল এবং ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বর্তমানে বাগদা চিংড়ীর উৎপাদন প্রতি হেক্টরে যেখানে ৩০০ থেকে ৫০০ কেজি সেখানে ভেনামী চিংড়ীর উৎপাদন ১১০০০ কেজি উল্লেখ করে বিশ্ব বাজারে ভেনামীর চাহিদার তথ্যসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করা হয়।