সুনামগঞ্জ জেলা সাহিত্যমেলার নিবন্ধনকারী প্রায় ৬০ জন কবি সাহিত্যিক ১৮ জানয়ারির আয়োজিত সুনামগঞ্জ সাহিত্যমেলা-২০২৩ইং বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
এরা হচ্ছেন কবি গীতিকার লেখক যথাক্রমে জনি বেগম, কাজী আমিন আততাফ হীম, রুহুল আমিন হাসান (জুনায়েদ মুন্সী), মুহাম্মদ ইমদাদ হোসেন, তৈয়বুর রহমান, মোঃ একরামুল হক সেলিম, আসাদ উল্লাহ,ইমামুল ইসলাম রানা, পারভেজ হুসেন তালুকদার, মহসীন কবির, মোহাম্মদ মোসায়েল আহমদ,মোঃ রফিকুল ইসলাম,এস.এম শরীয়ত উল্লাহ, ফারুকুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ওবায়দুল হক, একেএম জাকারিয়া, ইয়াকুব বখত বাহলুল, মোঃ আবদুল ওয়ারিশ, রেজাউল করিম কাপ্তান, আকরাম সাবিত, আহমদ আল কবীর চৌধুরী, নির্মল কর জনি, মোঃ মহিবুর রহমান, সামসুল কাদির মিসবাহ, সৈয়দ আহমদ আশিকী, আহমদ আলী আনোয়ার, হাসিনা আক্তার, অজয় রায়, শাহীনূর আলম, শাহরিয়ার ইমন, মোঃ নজরুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, গিলেমান আলম, নুর উদ্দিন, জেনারুল ইসলাম, আবদুল কাদির জীবন, জাকির হোসেন রাজু, জাকির শাহ, আসিফ বিল্লাহ, রাসেল আহমদ ও ফজলুল হক দোলন প্রমুখ।
বর্জন ঘোষণাকারীদের মুখপাত্র কবি ইয়াকুব বখত বাহলুল বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের নিয়ম মেনে তাদের দেয়া গাইড লাইন মোতাবেক সাহিত্য মেলায় সক্রিয় অংশগ্রহনের জন্য যথারীতি নাম নিবন্ধন করি। কিন্তু নিবন্ধনের পরপরই দেখতে পাই স্বঘোষিত কবি আমরা নাম নিবন্ধনকারীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য দিবালোকে গত ২৭ অক্টোবর ফেইসবুকে অপমানজনক কথাবার্তা পোস্ট করে জেলা প্রশাসনের এই সরকারী উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিষোদঘার করেছে। জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে আদৌ কোন পদক্ষেপ না নিয়ে আগামী ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বিতর্কিত ওই স্বঘোষিত লেখক প্রাবন্ধিক ব্যক্তিকে সুনামগঞ্জ জেলার কবিতা ও ছড়া বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপনের দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রশাসনের নিমন্ত্রণ ও ঘোষণাপত্রে এই বিতর্কিত বিদ্রোহীর নামটি দেখে আমরা আঘাত পেয়েছি, মর্মাহত হয়েছি। তাই আমরা সিদ্বান্ত নিয়েছি আমরা সুনামগঞ্জ জেলা সাহিত্যমেলায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবো। প্রবীণ গীতিকার শেখ এম.এ ওয়ারিশ বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে বিতর্কিত প্রাবন্ধিক কে অব্যাহতি দেয়ার দাবী জানিয়েছি।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দীদারে আলম মোঃ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, আমি অনভিপ্রেত এ ঘটনার জন্য সত্যিই দু:খিত। তারপরও অভিযোগের বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য ডিডিএলজি সাহেবকে দায়িত্ব দিয়েছি।