বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার রূমিন ফারহানা সরাইলের শাহবাজপুরে ও আশুগঞ্জের দলীয় সভায় নির্বাচনে সাত্তারকে যারা সহযোগিতা করবে তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। হুঁশিয়ারির দিন পেরূনের আগেই মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি’র সাবেক ৩ নেতা আবু আসিফ আহমেদ, সাদেকুর রহমান রঞ্জন ও প্রবাসী এম কামালকে দলের প্রাথমিক পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিস্কার করেছেন বিএনপি। গতকাল ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দলটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। তবে এম কামাল বলেন এটা এক ধরণের ধৃষ্টতার সামিল। দলীয় একাধিক সূত্র ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্র জানায়, গতকাল কেন্দ্রীয় বিএনপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে সুনির্দিষ্টভাবে জড়িত থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ, সরাইল উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুর রহমান রঞ্জন ও সরাইল উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এম কামাল হককে দলের প্রাথমিক পদসহ সকল পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি দলত্যাগী নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাঈনুল হাসান তুষার পিতার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার মনোনয়নপত্র সরাইল নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছিলেন। এ সময় তুষারের সাথে ছিলেন বিএনপি নেতা সাদেকুর রহমান ও এম কামাল হক। এম কামাল হক বলেন, আমি মনে করি এটা ধৃষ্টতার সামিল। আমি কোন অপকর্ম করিনি। কোন নেতার টি আর, কাবিখা নেয়নি। সাত্তার সাহেব বয়োজেষ্ঠ লোক। ওঁর সাথে অফিসে গিয়েছিলাম। তাতে অপরাধের কি হয়েছে? সরাইলের আরো অনেক নেতাই তো গিয়েছিলেন। বহিস্কার শুধু আমাকে কেন? সবাইকেই তো করা উচিত ছিল। হঠাৎ করে ফেসবুকে একটি বহিস্কার লেটার ছেড়ে দিল? এটা আসলে স্থানীয় বিএনপি’র একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্র। আসলে বিএনপি যা বলে তা করে না। আমার তো বাংলাদেশের কোথাও কোন দলীয় পদ নেই। আমি সৌদী আরবের দাম্মামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি’র ফাউন্ডার ও পৃষ্টপোষক। দাম্মাম মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আসন্ন নির্বাচনে এমপি পদ প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ বলেন, বহিস্কার করার কথা শুনেছি। আমার তো বিএনপি’র কোথাও কোন পদ পদবিই নেই। কিসের ভিত্তিতে বহিস্কার করলে বুঝলাম না। প্রসঙ্গত: দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা স্থানীয় সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার প্রথমে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে। এর কয়েক দিন পরই বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে একই আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। দল থেকে পদত্যাগের তিনতিন পর দল সাত্তারকে বহিস্কার করেন। এখন উকিল আবদুস সাত্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী। গত সোমবারে সাত্তারের মার্কা প্রচার ছিল ডাব। একদিন পরই মঙ্গলবার সাত্তারের মার্কা কলারছড়া বলে প্রচার করা হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এটা আবার কোন নাটক। সাত্তার নাটকেই যেখানে আমরা দিশেহারা। এখন তো দেখছি মার্কা নিয়ে নতুন নাটক শুরূ হয়ে হয়েছে।