ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আসন্ন উপনির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন মহাজোট থেকে নির্বাচিত দুইবারের সাবক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। আজ ১৮ জানুয়ারি দুপুরে তিনি এক লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছেন স্বল্প সময়ের জন্য এমপি হয়ে জনগনের কাছে দেওয়া ওয়াদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। তাই তিনি আসন্ন নির্বাচন করবেন না। তার পক্ষে আর কোন ধরণের প্রচারণাও হবে না। ৩৭ বছর এমপি মন্ত্রী থেকেও অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে দল ত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জানিয়েছিলেন ৫ বারের সাবেক এমপি বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এর কিছুূদিন পর স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ৩ নেতার মনোনয়ন প্রত্যাহার। আবার সাত্তারের উল্টো যুক্তি স্বল্প সময়ে কিছু করতে পারবেন না এই মূহুর্তে বুঝতে পেরেছেন মৃধা। তাই তিনি নির্বাচন করবেন না। তবে নির্বাচনী এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলছেন, ১৩ থেকে ৪ জন। শেষ পর্যন্ত কি সাত্তারই। কারণ এখন তো মাঠ একেবারেই ফাঁকা। আর শক্তিশালী প্রার্থী কোথায়? শেষ পর্যন্ত ওয়াক অভারও হতে পারে। এটা কেমন নির্বাচন? লিখিত প্রেস বিবৃতিতে মৃধা বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। দীর্ঘ দিন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর দল জাতীয় পার্টির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান পদে থেকে এই আসন থেকে পরপর দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়ে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বেগম রওশান এরশাদ কর্তৃক সূচিত বহুমুখী উন্নয়নের ধারায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করেছি। আসন্ন উপনির্বাচন পরবর্তী সময়কাল খুবই সংক্ষিপ্ত। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে জনগনের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই আমি আজ থেকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ালাম। সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিতব্য আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমার আসনের জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে জয়ী হয়ে উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করব। তিনি সমর্থক দলীয় নেতাকর্মী শুভাকাঙ্খী তথা নির্বাচনী এলাকার সকল জনগনের কাছে গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।