বগুড়া সারিয়াকান্দিতে জব্দকৃত ১১৩০ বস্তা চালসহ সিলগালা করে রাখা গুদামের চাল চুরির ঘটনায় ৩৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে সারিয়াকান্দি থানা পুলিশ। গত বুধবার ভোর রাতে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের বগুড়া সারিয়াকান্দি মেইন রোডের ব্রিজের পাশে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় চালগুলো উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি থানার উপপুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, স্হানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি উপজেলার আমতলী ব্রিজের পাশে চাল পরে আছে। পরে আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে মোট ৩৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, চাল উদ্ধারের ঘটনার বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে অবহিতি করা হয়েছে। তিনি থানায় আসার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গত ৭ জানুয়ারি চাল চুরির কাজে ব্যবহৃত ট্রাক এবং তার মালিককে গ্রেপ্তার করেছে সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ। ট্রাকের মালিক উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চর রামনগর গ্রামের হায়দার ফকিরের ছেলে আছাব্বর ফকির (৪২)। এ ঘটনায় গত ৩০ ডিসেম্বর পৌর এলাকার বাগবেড় গ্রামের মৃত নুরু প্রাং এর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫), আন্দরবাড়ী গ্রামের তোফা ফকিরের ছেলে রুসাত ফকির (২৮) এবং সোনা মিয়ার ছেলে রায়হান কবির (২৭) কেও গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার বাগবেড় গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে শাহাদৎ হোসেন এর নির্মানাধীন বসত বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম। অভিযান শেষে বাগবেড় গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে শাহীন আলম এর নিয়ন্ত্রনে থাকা ১১৩০ বস্তা চাল জব্দ করে গুদামটি সীলগালা করে এবং ক্রয় বিক্রয়ের রশিদ না থাকায় ও কৃষি বিপনন লাইসেন্স না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। গত ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই গুদামে উপস্থিত হয়ে সিলগালা খোলেন সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম। গুদাম পরিদর্শন কালে মাত্র ৬ বস্তা চাল দেখতে পারেন তিনি। ফলে গুদামটিতে থাকা ১১২৪ বস্তা চাল উধাও হওয়ার ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় গত ২৩ ডিসেম্বও সিলগালা করে রাখা গুদামের চাল চুরির অভিযোগে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সারিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দেওয়ান আতিকুর রহমান।