ছুটি না নিয়ে কলেজে অনুপস্থিত থাকায় ডিসেম্বর মাসের ৩০ দিনের বেতভাতা কাটা গেল সহকারী অধ্যাপক ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সভাপতি ময়নুল আহসানের। বেশী সম্মানির আশায় গোপনে অন্য কলেজে দায়িত্ব পালন করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ। শিক্ষক কর্মচারী ও অভিভাবকদের মধ্য ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্ঠি।
১ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে সোনালী ব্যাংক বগুড়ার গাবতলী শাখায় পাঠানো বেসরকাররি শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনভাতাদির সরকারি বিশেষ বিবরনী সংক্রান্ত তথ্যথেকে জানাগেছে, বগুড়ার দুর্গাহাটা ডিগ্রি কলেজের সকারী অধ্যাপক ইনডেক্র নং ৪১৭৯৪৭, গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, একদিন নিয়মিত কলেজে উপস্থিত থাকলেও সরকারি ছুটির আগে ও পরে কলেজ ৩০ দিন অনুপস্থিত থাকায় তার হাজিরা খাতা ফাঁকা থাকে। কোন কারণ ছাড়াই এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে কলেজে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে সহকারী অধ্যাপক ময়নুল আহসানের ৩০ দিনের বেতনভাতাদি কেটে, ১ দিনের বেতভাতাদি প্রদান করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এব্যপারে দুর্গাহাটা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুহম্মদ মোজাফফর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সহকারী অধ্যাপক ময়নুল আহসান ডিসেম্বর মাসে ৩০ দিন অনুপস্থিত ছিলেন। একারনে ৩০ দিনের বেতনভাতাদি কেটার বিয়টি নিশ্চিত করে, এ প্রতিনিধিকে অধ্যক্ষ আরো বলেন, সদ্য সমাপ্ত হওয়া এইচ এস সি পরীক্ষায় গাবতলী সরকারি কলেজ কেন্দ্রে হল পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে পাঠানো হয়। সেখানে সে দায়িত্ব পালন না করে, অধিক সম্মানির আশায় গোপনে বগুড়া সরকারি মুজিবুর রহমান মহিলা কজে কেন্দ্রে এইচ এস সি’র দায়িত্ব পালন করেন। দুর্গাহাটা কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে ময়নুল আহসানকে ২ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে, তার কোন সন্তোষ জনক জবাব ময়নুল আহসান দেননি।
দুর্গাহাটা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন গাবতলী উপজেলা শাখার সভাপতি, ময়নুল আহসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে অন্য কলেজ কেন্দ্রে বেশী সম্মানীর আশায় এইচ এস সি পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করেন। অধ্যক্ষ মুহম্মদ মোজাফফর হোসেনকে, বিষয়টি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ঘটসায় অত্রকলেজের শিক্ষক শিক্ষক কর্মচারী ও অভিভাবকদের মধ্য ব্যাপক আলোচনা সমালাচনার সৃষ্টি হয়েছে।