বাগেরহাটের মোল্লাহাটে "আল মারকাজুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা" এর পাঠ কার্যক্রম চলছে খোলা আকাশের নিচে। গত প্রায় এক মাস পূর্বে ১৭ ডিসেম্বর সকালে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মাদ্রাসার টিনের বিশাল ঘর সহ সর্বস্ব। যে কারণে খোলা আকাশের নিচেই আবার এখানকার এতিম ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট চুনখোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রমজান শরীফ সহ বিভিন্ন সুত্রে জানাযায়, এখানকার শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের অদম্য ইচ্ছে শক্তি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। তাই শত প্রতিকূলতার মাঝেও খোলা আকাশের নিচে চলমান আছে কার্যক্রম।
গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার পোড়া ঘরের চত্বরে এক ঝাঁক পবিত্র কোরআনের পাখি নিজেদের পড়া প্রস্তুত করছে। শিক্ষকগণ কেউ পায়চারি করছে আবার কেউ বসে লক্ষ্য করছেন শিক্ষার্থীদের।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মুফতি আবদুল হান্নান জানান, আল্লাহর রহমতে এ প্রতিষ্ঠান আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেন তিনি। তিনি আরো জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট সরকারি সাহায্যের আবেদন করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে কিছু গাছ ক্রয় ও চেরাই করা হয়েছে। যা দিয়ে খুঁটি ও টিনের চটা হবে। এখন জরুরি ভিত্তিতে অন্তত ৩০ বান টিন ও খরচ বাবদ নগদ টাকা প্রয়োজন। যেহেতু এটা দিনই (ইসলামী) প্রতিষ্ঠান, তাই আশা করছি, সামর্থবানরা সাহায্যের হাত বাড়াবেন। তাহলে এতিমসহ সকলের কষ্ট দূর হবে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে, সেটা সুপারিশ সহ বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া সম্ভবপর সরকারি সবধরনের সাহায্য/সহযোগিতা করা হবে।