কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার রামদী আগরপুর ইউনিয়নের মুজরাই গ্রামে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) রাত ৮ টার ১৫ মিনিটের দিকে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোঃ আলম মিয়ার ছেলে রিসাদ মিয়া ও একই গ্রামের মোঃ আবু বাক্কার গংদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত তিন জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় একটি পক্ষের মোঃ আবু বাক্কার (৬০) মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় মোঃ আবু বাক্কারকে বাজিতপুর ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এই ঘটনায় গত শুক্রবার বিকালে নিহত আবু বাক্কারের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এরি জেরে নিহত আবু বাক্কারের শতাদিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে আলম মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তিনটি বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট শেষে ওই তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অগ্নি সংযোগের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলেন, মোঃ আলম মিয়া, মোঃ রবি মিয়া ও সালাম মিয়ার ঘরে নিহত আবু বাক্কারের লোকজন ১২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার সহ অন্তত ৪০-৫০ লক্ষ টাকা মালামাল নিয়ে গেছে। এ সময় আলম মিয়ার স্ত্রী জানান, এখন থাকার মতো কোন জায়গা নেই। বর্তমানে ছেলে মেয়ে নিয়ে এই তিনটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে অনাহারে অধ্রাহারে বসবাস করছেন। কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।