দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি। চলতি ২২-২৩ অর্থ বছরের আমন মৌসুমে সরকারি খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কৃষকদের ধান দেওয়ার কোন সাড়া মেলেনি খাদ্য গুদামে। খোলা বাজারে ধান-চালের দাম বেশি পাওয়ায় সরকারি গুদামে ধান সরবরাহ করেননি কৃষকরা।যার ফলে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারিভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আমন ধান ক্রয়। জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর/২২ থেকে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত ধান করা হবে। কিন্তু পাইকারী বাজারে ধান-চালের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা ধান বাইরে বিক্রয় করছে। যার ফলে চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে আমন ধান ক্রয় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।, চলতি মৌসুমে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান প্রতি কেজি ২৮ টাকা ও চাল ৪২ টাকা দরে ধান ও টাল ক্রয় করা হবে। ৬৩৯ মে.টন ধান ও ৫৭৪ মে.টন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ পর্যন্ত ধান সংগ্রহ এ উপজেলায় ধান সংগ্রহ হয়নি। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার হাটবাজারে আমন ধানের দাম ভালো পেয়েছেন কৃষকেরা।তাছাড়া সরকারিভাবে খাদ্যগুদামে ১১২০ টাকা মন ধান। এ ক্ষেত্রে বেশি শুকানোসহ পরিশ্রম বেশি করতে হয়।অন্য দিকে সরকারি দামের তুলনায় হাট-বাজারে মন প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশী।তাই বাইরে বিক্রিতেই আগ্রহ দেখিয়েছেন তাঁরা। সরকারি দরের চেয়ে বাজারে এখন মোটা ধান প্রতি কেজি ৩২ টাকা, আর মোটা চাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও চিকন চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারি গুদামে ধান-চাল দিলে এবার বেশি লোকসান গুনতে হবে। এইজন্য কেউ সরকারি খাদ্য গুদামে ধান চাল দিতে আগ্রহী নয়। তবে সরকার যদি বিষয়টি বিবেচনা করে মুল্য পুন:নির্ধারণ করে তাহলে কৃষকরা ধান দিতে আগ্রহী হবেন বলে মনে করেন। ঘোড়াঘাট উপজেলা অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ গোলাম মওলার সাথে কথা হলে তিনি জানান, একজন কৃষকের কাছ থেকে এক মেট্রিক টন করে ধান ক্রয় করা হবে।খাদ্যগুদামে ধান সরবরাহ করতে গেলে ১৪ শতাংশ আর্দ্রতা দেখে ও চিটা বাদ দিয়ে বিক্রি করতে হয়। এবার বাইরে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা হয়তো কম পরিশ্রমে বাইরে ধান বিক্রি করেছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত ধান করার সময় নির্ধারণ করা থাকলেও উপজেলার ৪টি সরকারি গোডাউনে এখন পর্যন্ত কোন ধান সংগ্রহ হয়নি।