দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। একদিনের ব্যবধানে একই এলাকায় পুলিশের উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বাড়ীসহ দুইটি বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি এবং একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে চরম আতঙ্ক গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসী। ডাকাতের হাত থেকে বসতবাড়ীর ধন-সম্পদ রক্ষা করতে রাত জেগে গ্রাম পাহারায় নেমেছেন পুরুষরা। ডাকাতির আতঙ্কে নিরঘুন রাত কাটছে বাড়ীর নারীদের।
জানা যায়, উপজেলার পৌরশহরে দক্ষিণ সুজাপুর গ্রামে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক বাপ্পি সরকারে বাড়ীতে এবং গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে মৃত নন্দী সরকারের বাড়ীতে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডাকাত দলের দেশিয় অস্ত্রের আঘাতে বাড়ীর দুই বাড়ীর নারীসহ দুই জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, মৃত নন্দী সরকারের স্ত্রী ইলা রানী (৫৫) এবং বাপ্পি সরকারের ভাই রতন সরকার (৪০)। এরমধ্যে ইলা রানীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দিনাজপুর এম. আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে একই এলাকায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে সুজাপুরস্থ সুরেশ পাবলিক লাইব্রেরীতে চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।
ইলা রানীর ভাতিজি জামাই কাঞ্চন কুমার সরকার ও প্রতিবেশ পাপন সরকার বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বাপ্পি সরকারে বাড়ীতে প্রাচীর টপকে একদল ডাকাত বাড়ীর বারারন্দার গ্রীলের তালা কেটে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে বাড়ীর লোকজনকে দেশিয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরের আলমিরাসহ আসবাবপত্র তছনছ করে স্বণালঙ্কারসহ নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয়। টের পেয়ে বাপ্পি সরকারের সহোদর রতন সরকারসহ বাড়ীর লোকজন চিৎকার শুরু করলে ডাকাতদল রতন সরকারকে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। ঠিক একইভাবে পরদিন গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাতে ডাকাতদল পাশের বাড়ী মৃত নন্দী সরকারের বাড়ীতে হামলা করে। এতে নন্দী সরকারের স্ত্রী ইলা রানী চিৎকার ডাকাতদল তাকে দেশিয় অস্ত্রের আঘাতে আহত করে। এতে ইলা রানীর মাথা থেকে রক্ত ক্ষরণ শুরু হলে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার হুমকি দেয় ডাকাতদল। পরে দেশিয় অস্ত্রের মুখে বাড়ীর আলমিরা ভেঙ্গে নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে একই এলাকার সুজাপুর সুরেশ লাইব্রেরীতে চুরির ঘটনা ঘটে। এতে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন দামি আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আগের দিন ঘটনার পর এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।