চাঁদার টাকা না পেয়ে খুলনার পাইকগাছায় আগড়ঘাটা উপণ্ডস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী মেডিকেল অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম, ভাংচুরের ঘটনায় ৫ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আগড়ঘাটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নিকট সাংবাদিক পরিচয় বিভিন্ন সময় চাঁদাদাবী করে। ২১ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় আসামীগণ আগড়ঘাটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অফিসে ঢুকে দরজা বন্ধ করে তার কাজে বাঁধা প্রদান করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় আসামি আবদুল মজিদ সরদারের নির্দেশে আসাদ গোলদার টেবিলের উপরে থাকা কেটলি দিয়ে আব্দুল্লাহ আল-মামুনের মাথায় সজোরে আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। মামুনের চিৎকারে তার স্ত্রী উপর তলা বাসা থেকে নেমে আসলে তাকে টানাহেছড়া করে মারপিট করে। এ সময় তারা অফিসের বিভিন্ন ঔষধসহ জিনিসপত্র নষ্ট করে। এ ঘটনায় আগড়ঘাটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল-মামুন বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় আবদুল মজিদ, আসিফ ইকবল ইমন, মানছুর রহমান জাহিদ, আসাদ গোলদার, ফসিয়ার রহমানসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনের নামে মামলা করেছেন। মামলা নং-২১, তারিখ ২১ জানুয়ারি। ধারা ১৪৩/৪৪৮/৩৪২/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪২৭/৩৮৫/৩৮৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০, বেআইনি জনতাবদ্ধে সরকারী কর্মচারীর অফিস কক্ষে অনাধিকার প্রবেশ করে সরকারী কর্মচারীকে অবৈধ আটক করে, সরকারী কাজে বল প্রয়োগ পূর্বক বাধাদান করে, চাঁদাদাবী ও চাঁদা আদায়ের জন্য ভীতি প্রদর্শন সহ হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করতঃ সরকারী কর্মচারীকে সাধারন ও গুরুত্বর জখম সহ ক্ষতি সাধন, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হুকুম দানের অপরাধ। ক্ষতির পরিমান ৪০ হাজার টাকা। থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, থানায় মামলা হয়েছে, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হলেও তারা গাঢাকা দিয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।