আশাশুনিতে পিতার বিক্রয়কৃত জমি ক্রেতারা প্রায় দু’যুগ ভোগদখলে থাকার পর পিতার মৃত্যুান্তে ছেলেরা মালিকানা দাবি করে বিক্রয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপরে প্রশাসন ও ভূমি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
চক বাউশুলি গ্রামের আঃ খালেক গাইনের ছেলে সাইফুল ইসলাম দিং জানান, তার পিতা ২২/০৪/২০০২ তাং সোদকনা গ্রামের মোজাহার গাইনের ছেলে গফুর গাইনের কাছ থেকে ১৭৯৩ নং কোবালা দলিলে মাধ্যমে চক বাউশুলী মৌজায় এসএ ৪ ও ১১ খতিয়ানে ১২ দাগসহ ৩ দাগে ৩০ শতক জমি ক্রয় করেন। এ ছাড়া ১০/০৪/৯৬ তাং এসএ ৯, ৪ ও ১৫ খতিয়ানে ১৯, ২০ ও ১৮ দাগে ৮ শতক জমি ১৪৭৩ নং দলিলে ও একই দাগ খতিয়ানে একই তারিখে একই দ্বাতার কাছ থেকে শাহাবুদ্দিন গাইন ১৪৭২ নং দলিলে ৮ শতক জমি ক্রয় করেন। মোট ৪৬ শতক জমিতে তারা সেই থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলিকার আছেন। চেক দাখিলা কেটেছেন। সেটেলমেন্ট চলাকালে জমি রেজিষ্ট্রী হওয়ায় জমি মালিক গফুর গাইনের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। যে কারণে জমি গ্রহিতা ও দখলে থাকা মালিকগণ রেকর্ড সংশোধনের জন্য যথারীতি মামলা করেছেন। এ ছাড়া মিউটিশানের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছেন। জমি দ্বাতা গফুর গাইন জীবিত থাকা কালীন হতে তারা জমিতে দখলে আছেন। তার মৃত্যুান্তে ওয়ারেশরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিক্রয়কৃত জমি অন্যত্র বিক্রয় ও মিউটিশানের জন্য আবেদন করেছেন। তাদের ষড়যন্ত্র ও মালিকানা স্বত্ব না থাকার পরও জমি বিক্রয় ও মিউটিশানের আবেদন তাদেরকে হয়রানীর শামিল। এ ব্যাপারে তারা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা কলেছেন।
আশাশুনি সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, দু’পক্ষের মিউটিশান আবেদন পাওয়া গেছে। জমি পিতা বিক্রয় করে থাকলে সন্তানরা দাবীদার থাকতে পারেনা। উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে সঠিকতার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।