এই পৃথিবীতে আমার বেঁচে থাকতে ভাল লাগে না। আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী নহে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। এভাবে নিজের মোবাইল ফোনে রেকডিং করে ঘরের ফ্যানের সাথে রশি বেঁধে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তানিয়া খাতুন(২৪) নামের এক গৃহবধু। ঘটনাটি রোববার সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শশুর বাড়ি শালিকা গ্রামে। নিহত তানিয়া উপজেলার শালিখা গ্রামের বাদশা শেখের স্ত্রী ও চুয়াডাঙ্গার জিবননগর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আলী কদরের মেয়ে। ৯ বছরে আগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় শালিখা গ্রামের বাদশা শেখের সাথে। তামিম নামের ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে তাদের।
নিহত তানিয়ার পিতা আলী কদর জানান, রোববার সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে ১ মিনিট ১১ সেকেন্ড ভাল ভাবে কথা হয় তার। দুপুর ২টার সময় ফোন আসে তানিয়া মারাত্বক অসুস্থ কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি আছে। এরপর আমি কালীগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে বেডে তানিয়ার লাশ দেখতে পাই। তিনি আরো জানান, দুই বছর আগে ট্রাইফাইড জ¦রে আক্রান্ত হন তানিয়া। তার পর থেকে তানিয়ার মাথায় সমস্যা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহিম মোল্লা বলেন, নিহত তানিয়ার মোবাইল ফোন সিস করা হয়েছে। তাতে রেকডিং আছে এই পৃথিবীতে আমার বেঁচে থাকতে ভাল লাগে না। আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী নহে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। দুই বছর আগে ট্রাইফাইড জ¦রে আক্রান্ত হন তানিয়া। তার পর থেকে তানিয়ার ব্রেনে সমস্য ছিল। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।