বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ বলে, বিএনপির জন্ম ক্যান্টমেন্টে। বিএনপির জন্ম ক্যান্টমেন্টে হয়নি, জনগণের মাঝে জন্ম নিয়েছে। ধরে নিলাম তাদের কথা সত্য। আওয়ামী লীগের জন্ম তো ক্যান্টমেন্টে নয়। তারা কেন গণতন্ত্র হত্যা করে? মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জিয়া প্রজন্মদল আয়োজিত ‘রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মঈন খান বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ৭ কোটি মানুষের মধ্যে কতজন বিরোধিতা করেছিলেন- সেই অজুহাত দিয়ে দেশকে আজ বিভক্ত করা হচ্ছে। এতে আওয়ামী লীগের কী উদ্দেশ্য? বিভক্ত করে তারা রাষ্ট্রকে অস্থির করতে চায়। তারা দেশের টাকা লুণ্ঠন করছে, হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করছে। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের কী ভূমিকা ছিল। তাদের কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল না, পালিয়ে গিয়েছিল। সেদিন যদি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন, তাহলে দেশে মুক্তিযুদ্ধ হতো না, হতো গৃহযুদ্ধ। জিয়া জাতির ক্রান্তিলগ্নে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে চলে যাননি, সম্মুখযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে রাজনীতির রেশ বলতে কিছু নেই। ৭২ থেকে ৭৫ সালে লিখিত বাকশাল ছিল। এখন অলিখিত বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ যা হুকুম করে, তা জনগণকে মানতে বাধ্য করে। ক্ষমতাসীনদের অস্বাভাবিক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। মানুষকে চিন্তার স্বাধীনতা দিতে হবে।তিনি বলেন, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। কিন্তু বিএনপি তো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলে না। যারা রাষ্ট্রকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে, রাষ্ট্রের অর্থ লুটপাট করছে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে। আর এ অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে কথার অপরাধেই আমাদের বিরুদ্ধে লাখের বেশি মামলায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শাহীনুর মল্লিক জীবনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরতক উল্লাহ বুলু, কেন্দ্রীয় নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।