নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদের একইস্থানে আরেকটি লো-লিফট পাম্প (এলএলপি) স্থাপন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলার কশব ইউনিয়নের চকবালু গ্রামের এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষক সমবায় সমিতির পক্ষে মান্দা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
বিরোধের কারণে ড্রেন কাটতে না পারায় এখন পর্যন্ত চালু হয়নি সেচযন্ত্র। এতে চলতি মৌসুমে অন্তত ২০০ বিঘা জমির বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় সেখানে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চকবালু কৃষক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন, ২০ বছর আগে আত্রাই নদের চকবালু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে লো-লিফট পাম্প (এলএলপি) স্থাপন করা হয়। এ সেচযন্ত্রের মাধ্যমে চকবালু, পাঁজরভাঙ্গা, চকসিদ্ধেশ্বরী ও ছোটচকচম্পক মৌজার একটি বিলে ২০০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেন কয়েক গ্রামের কৃষক। কিন্তু হঠাৎ করে একইস্থানে আরেকটি এলএলপি স্থাপনের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করেন চকসিদ্ধেশ্বরী গ্রামের আবদুল মান্নানসহ পাঁচজন ব্যক্তি।
কৃষক সমবায় সমিতির সহসভাপতি আলাউদ্দিন প্রামাণিক অভিযোগ করে বলেন, আবদুল মান্নান ও তার সহযোগীরা কৃষক সমবায় সমিতির সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। তাদের বাধার কারণে এখন পর্যন্ত স্কীমের ড্রেন কাটার কাজ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘আশপাশের স্কীমের জমিগুলোতে রোপণ কাজ শুরু হলেও কয়েক ব্যক্তির হঠকারী সিদ্ধান্তে আমরা সেচযন্ত্র চালু করতে পারছি না। এতে মাঠের ২০০ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। ঘটনায় মান্দা থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত আবদুল মান্নান বলেন, ‘আশপাশের স্কীমগুলোর তুলনায় ওই স্কীমে অতিরিক্ত সেচচার্জ আদায় করা হয়ে থাকে। এ কারণে আমরা কয়েকজন কৃষক আলাদাভাবে সেচপাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।’
মান্দা উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তদন্তাধীন আছে। আগামী শনিবার উভয়পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করা হবে।