কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের গণমানুষের নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক দু’বারের সফল সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার ১৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী শুক্রবার। এ উপলক্ষ্যে জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুক্রবার বাদ ফজর কোরআন খতম, সকাল সাড়ে ১০টায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ১১টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কবর জিয়ারত এবং দুপুর ১২টায় তাবারুক বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪৮ সালে নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে এক সম্ভ্্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া নাঙ্গলকোটবাসীকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিয়ে চলে যান। তাঁর পিতার নাম মরহুম আনু মিয়া ভূঁইয়া, মাতার নাম মরহুমা উম্মে কুলসুম। পাঁচ ভাই, চার বোন, ভাইদের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। তিনি ময়ুরা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ফেনী সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক (ডিগ্রী) লাভ করেন। তিনি কলেজে অধ্যয়নকালীন ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন ও বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। দাম্পত্য জীবনে তিনি একমাত্র কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম মোহছেনা আবেদীন ফেন্সী। একমাত্র আদরের মেয়ের নাম রওশন আরা আবেদীন স্নিগ্ধা। মেয়ের জামাতা জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার ভাতিজা নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির, তিনিও শ্বশুরের পথ ধরে জনসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। জনসেবার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি হয়েছেন ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের একাধারে ৩ বারের জননন্দীত চেয়ারম্যান। জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার স্মৃতি আজীবন ধরে রাখতে নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির প্রতিষ্ঠা করেছেন জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন।
কিন্তু জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার স্মৃতি স্বরুপ দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও ওঁর নামে করা হয়নি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।