বগুড়ার নন্দীগ্রামে বেড়েছে চোরের উপদ্রব। কোনোভাবেই চোরদের দৌরাত্ম থামানো যাচ্ছে না। চোরেরা যেন চুরির অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে এই উপজেলাকে।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ৪ টি মোটর সাইকেল ও একদিনে দিনের বেলায় ৩ বাড়িতে দূর্বৃত্তরা হানা দিয়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণলংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া দুই বাড়িতে আলমারি ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে।
গত ২৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিনের বেলায় একদিনে পৌর শহরের কলেজপাড়ায় হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী আবদুল হাকিমের বাড়ির তালা ভেঙ্গে তিনভরি স্বর্ণ অলংকার ও নগদ তিন হাজার টাকা, আবদুল খালেদ এর বাড়ি থেকে চারভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৭০ হাজার টাকা ও আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে তিনআনা স্বর্ণালংকার ও সাত হাজার টাকার প্রাইজবন্ড লুট করে নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। একই দিনে শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও ইমরান তালুকদার এর বাড়ির আলমারি ভেঙ্গে কাগজপত্র তছনছ করে কিছু না পেয়ে চোরেরা চলে যায়।
এছাড়া নন্দীগ্রামে গত ২০ জানুয়ারি একদিনে তিনটি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। রনবাঘা কালিতলা থেকে সিটি ১০০ সিসি মোটর সাইকেল, ওমরপুর হাট থেকে আবু বক্করের সিটি ১০০ সিসি মোটর সাইকেল, ভাটগ্রাম ইসলামি জালসা থেকে জেল হোসেন নামের এক ব্যক্তির ডিসকভার ১২৫ সিসি মোটর সাইকেল এবং গত ১৯ জানুয়ারি পন্ডিতপুকুর বাজার থেকে কৃষক আইজুল ইসলামের সিটি ১০০ সিসি মোটর সাইকেল চুরি হয়। স্থানীয়রা বলছেন, আমরা এখন অনেক ভয়ে থাকি আবার কখন সবকিছু চুরি হয়ে যায়। অতি দ্রুত এই সংঘবদ্ধ চোরদের গ্রেপ্তার করা না হলে চুরি থামবে না। এই সংঘবদ্ধ চোরদের কাছ থেকে রক্ষা পেতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। ভুক্তভোগী আবদুল হাকিম বলেন, দিনের বেলায় কলেজপাড়ায় ৫টি বাড়িতে চোরেরা হানা দিয়ে স্বর্ণলংকারসহ নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। এসুযোগে সংঘবদ্ধ চোরের দল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। চুরি হওয়ার পর নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ করেছি। জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, জালসা থেকে চুরি হয়ে যাওয়া মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছি। দুস্কৃতকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া কলেজপাড়ায় চুরির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছে। চোর ধরতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।