দুজন শিক্ষককে নানাবিধ কারণে সাসপেন্ড করায় এখন অধ্যক্ষের মানসম্মান ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কলেজের কতিপয় শিক্ষকদের নেতৃত্বে বিশেষ একটি মহল। এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা সুনাম ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের স্বনামধন্য অধ্যক্ষ শেখ ফারুক আহমদ কে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, লক্ষীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠার পর এলাকার প্রায় সকল গ্রামেরই হাজার হাজার নারী শিক্ষার্থী ভালো পরিবেশে শিক্ষাগ্রহণ করে আসছেন। অল্প খরচে ভালোমানের একটি কলেজে অধ্যয়ন করে গরীব ঘরের অনেক শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্নবাস্তবায়ন করেছেন।
সূত্র জানায়, কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ শেখ ফারুক আহমদ ২০০৬ সালে উপাধ্যক্ষ (ভাইস প্রিন্সিপাল) হিসাবে কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি পদন্নতী পেয়ে ২০২১ সালে অধ্যক্ষ(প্রিন্সিপাল) হন। কলেজে পড়াশোনার মান অনেক ভালো। অত্যন্ত সুনামের সাথে দক্ষ হাতে কলেজ পরিচালনা করে আসছেন তিনি। কিন্তু কয়েকমাস আগে নানাবিধ অভিযোগে তিনি কলেজের দুজন শিক্ষককে সাসপেন্ড করেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন এবং ক্ষতি করবার হুমকিও দেন। ওই ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের সাথে কলেজের বাহিরের লোকও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে সূত্র জানায়।
অধ্যক্ষ শেখ ফারুক আহমদ অভিযোগে আরো জানান, আমি ১৯৮৩ সালে খুলনা দৌলৎপুর ব্রজলাল কলেজে অধ্যায়নকালে একটি বাড়িতে লজিং মাস্টার ছিলাম। কতিপয় শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে এখন যে নারীকে জড়িয়ে ষড়যন্তে লিপ্ত ওই নারী তখন ছিলেন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। শিশুবেলা থেকেই মানুষিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলো ওই নারী। মানুষিকভাবে ভারসাম্যহীন ওই নারী সাসপেন্ড হওয়া দুজন শিক্ষকের বাড়িতে বেশ কয়মাস যাবৎ যাতায়াত করে আসছেন। তাদের নেতৃত্বেই চলছে ষড়যন্ত্র।
আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তারা কলেজের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে নোংরামি শুরু করেছে। সাংসারিক জীবনে আমার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। আমি সম্মানের সাথেই এলাকায় চলাফেরা করে থাকি। সুষ্ঠুভাবে কলেজ পরিচালনায় আমি সচেতন মানুষসহ প্রশাসনের সহযোগিতা চাই। সূত্র জানায়, অভিভাবকসহ স্থানীয়রা এ কলেজ নিয়ে এখন উদ্বীগ্ন হয়ে পড়েছেন।