আর কয়েক ঘণ্টা পরেই রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে শুরু হবে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা। ইতোমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে জনসভাস্থল। নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে মাদ্রাসা মাঠে।
সকাল ৯টার দিকে জনসভাস্থল (হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠ) সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও ভোর থেকেই জনসভা এলাকায় আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের স্লোগানে-স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে রাজশাহী নগরী।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নেতা কর্মীরা মাঠে আসছেন। বিভাগের আট জেলা থেকে এ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এতে যোগ দিচ্ছেন।
এর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, '৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে রাজশাহীতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এজন্য জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের আশপাশে ২২০টি মাইক, ১২টি এলইডি স্ক্রিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।'
রাজশাহীতে আজ ১ হাজার ৩১৬ কোটি ৯৭ টাকার ২৫টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি আনুমানিক ৩৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬টি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।
জনসভাকে কেন্দ্র করে কয়েক ধাপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে আজকের এই জনসভা। এরইমধ্যে মঞ্চে আসতে শুরু করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। দুপুর আড়াইটায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।